কলারোয়া, ভূঞাপুর ও নলছিটি পৌরসভার ফলাফল স্থগিত
সাতক্ষীরার কলারোয়া, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর, ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার ফলাফল স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। দেশের প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যম দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনটি লিখেছেন সাইদুর রহমান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে বিভিন্ন ধাপে অনিয়ম, সহিংসতা, কেন্দ্র দখল, ব্যালটে সিলমারা ঘটনায় তৃতীয় ধাপের তিনটি পৌরসভার ঘোষিত বেসরকারি ফলাফল স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর, ঝালকাঠির নলছিটি ও সাতক্ষীরার কলারোয়ার ফলাফল স্থগিত করে অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, পৌরসভার নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামান্য বিঘ্ন ঘটেছে। তিনটা জায়গায় আমরা পত্রিকার নিউজ দেখে রিটার্নিং অফিসারকে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। কেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্ন ঘটেছে, কারা ঘটিয়েছে, কেন ভঙ্গ হলো, কারা দায়ী; এই বিষয়গুলো উপর তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে। এই তিনটার বেসরকারি ফলাফলও আমরা স্থগিত করেছি।
প্রতিবেদন পাওয়ার যদি দেখা যায় যে অপরাধ ঘটেছে, তাহলে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, তা আমরা নেব। এক্ষেত্রে ফৌজদারী বা নির্বাচনী আইনে মামলা দায়ের করবো। এটা আমরা করতে চাই, যাতে একটা ম্যাসেজ যায় যে, কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলায় কমিশন কঠোরভাবে এগুলো দমন করতে সব ধরণের ব্যবস্থা নেবে।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে- ইসি সূত্র জানিয়েছে, বিগত তিন ধাপের পৌরসভার ভোট নিয়ে সন্তুষ্ট নয় কমিশন। নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় পৌরসভা নির্বাচনের অনিয়ম সংক্রান্ত সংবাদ গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই অংশ হিসাবে গত বৃহস্পতিবার ভূঞাপুর, নলছিটি ও কলারোয়ার বেসরকারি ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে।
পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন পৌরসভার অনিয়ম সংক্রান্ত সংবাদগুলো সম্পর্কে রিটার্নিং অফিসারদের প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রিটার্নিং অফিসারদের প্রতিবেদনের পর ওই পৌরসভার ফলাফলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক চাপে রিটার্নিং অফিসারদের পক্ষে সঠিক প্রতিবেদন না আসার সম্ভাবনা বেশি। অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারদের সংশ্লিষ্টতাও রয়েছে।
উল্লেখ্য, এবার পাঁচ ধাপে পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ২৪টি, ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি, গত ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে ৬২টি পৌরসভায় ভোট হয়। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপে ৫৬টি এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি ৩১টি পৌরসভার ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন