কলারোয়া সাতক্ষীরা হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন সড়ক দূর্ঘটনায় আহত রাজু
হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন রাজু আহমেদ (২৯)। রাজু গত ২৫ মে কলারোয়া সাতক্ষীরা সড়কের গোপিনাথপুর পল্লী বিদূৎ সাব ষ্টেশনের সামনে এক সড়ক দূর্ঘটনায় মারত্বকভাবে আহত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
কলারোয়া থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ মে সকাল ৮ টার সময় বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা একটি ট্রাক(নং যশের ট- ১১ -০৮০৯) রাজুর ট্রলির পিছন দিক থেকে ধাক্কা দিয়ে সড়কের নিচে ফেলে দেয়। এতে মারাতœক ভাবে আহত হন ট্রলি চালক রাজু ও তার হেলাপার শাওন।
তাদের দু’জনকে কলারোয়াহাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি করার কিছুক্ষন পরই শাওনের মৃত্যু হয়। রাজুর অবস্থা দ্রæত অবনতির দিকে যেতে থাকলে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মেডিকেলে ভর্তি করার পর গত ২৬ মে ও ২৯ মে রাজুর বড় ধরনের অস্ত্রপচার করা হয়।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা যায়, রাজুর ডান পাঁজড়ের ৩টি হাড় ও বাম কাধের হাড় ভেঙ্গে গেছে,শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্বক ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তার অবস্থা আশঙ্খাজনক।
রাজুর বাড়ি যশোর জেলার শার্শা উপজেলা পূর্ব কোটা গ্রামের। তার পিতার নাম হবিবার রহমান। সে তার পিতার সংসার থেকে আলদা ভাবে বসবাস করে। রাজুর তানবিন ৫ বছর বয়সের একটি ছেলে ও তাবাচ্ছুম নামের ৬ মাসের একটি শিশু কন্যা আছে। এবং সে তার পরিবাবের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি।
রাজুর বাবা হবিবার রহমান জানান,গত ১২/১৩ বছর ধরে সে ট্রলি চালাচ্ছে। আগে অন্যের ট্রলি ভাড়া নিয়ে চালাতো। গত ৩ মাস আগে জমানো ৫০ হাজার ও আর আর এফ নামে একটি এনজিও থেকে চড়া সুদে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লোন নিয়ে মোট ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে ট্রলিটি ক্রয় করে। প্রতি মাসে তাকে ১৭ হাজার ৫শ’ টাকা করে কিস্তি দিতে হয়।
সে প্রতিদিন সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা,আলিুর বাজার থেকে খুড়ো, ভূষি, ধান, চাউল নিয়ে যশোর জেলার বাঁগআচড়া, নাভারণ,ঝিকরগাছা সহ বিভিন্ন বাজরে সরবরাহ করতো। এতে তার প্রতিদিন গড়ে আয় হতো ৯শ’ থেকে ১২শ’ টাকা।
৬ মাসের মেয়ের দুধ কেনা,রাজুর ঔষধ পথ্য ও সংসার চালানো তার স্ত্রীর একার পক্ষে মোটেই সম্ভব হচ্ছে না। তার শেষ সম্ভল হাস, মুরগী, গরু,ছাগল বিক্রি করে স্বামীর চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের ধনী বিত্তবানদের নিকট সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান,ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে, তবে ট্রাকের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি। থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন