কলারোয়ার সোনাই নদীতে ঘাট নির্মান করে দিলেন হরিদাস ঠাকুরের অজানা এক ভক্ত
মিলন দত্ত : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছিতে নামাচার্য্য শ্রীশ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুরের জন্মভিটা আশ্রম সংলগ্ন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তরেখা সোনাই নদীতে পাকা শানের ঘাট নির্মান সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়ন হওয়ায় ভক্তের মনের আশা পূরণ হয়েছে।
সংসদ সদস্যের অনুকূলে বরাদ্দ কাবিটা থেকে সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ দুই লক্ষ টাকা প্রদান করেন এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হরিদাস ঠাকুরের এক ভক্ত শানঘাট করার জন্য অর্থায়ন করেন।
আশ্রমের সভাপতি অধ্যাপক কার্ত্তিক চন্দ্র মিত্র জানান- ‘ভক্তদের স্বপ্ন পূরণে শ্রীশ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুরের এক পরম ভক্ত সোনাই নদীতে ৪০ফুট বাই ৩০ ফুট শানের ঘাট নির্মাণ করে দিয়েছেন। তবে এই ভক্ত তার নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক।শানের কাজ শুরু করবার আগে একজন রাজমিস্ত্রী আশ্রমের সাধারণ সম্পাদকের সাথে দেখা করে বলেন যে- শ্রীশ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুরের একজন ভক্ত আশ্রমে শানের ঘাট নির্মাণ করে দিতে চায়। তখন সাধারণ সম্পাদক সন্দ্বীপ রায় তার নাম ঠিকানা জানতে চায়লে ঐ রাজমিস্ত্রী বলেন- যে ভক্ত এই কাজ করে দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি নাম ঠিকানা প্রকাশ করতে চান না। সন্দ্বীপ রায় তাকে জানিয়ে দেন যে, এই বিষয়টি আশ্রম পরিচালনা পরিষদে জানিয়ে পরবর্তীতে আপনাকে জানাবো।’
কার্তিক চন্দ্র মিত্র আরো বলেন- ‘পরবর্তীতে বিষয়টি আশ্রম পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের জানানো হলে সকলেই হ্যাঁ বাচক সিদ্ধান্ত জানালে সেই মিস্ত্রীকে বিষয়টা জানানো হয়। তখন সেই রাজমিস্ত্রী ঘাটের কাজ করার জন্য নিজেই রড, বালি, সিমেন্ট, পাথর সবকিছু নিজে হাতে কিনে এনে কাজ শুরু করেন।’
তিনি আরো জানান- ‘সাতক্ষীরা-১ আসনের সাংসদ এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ সব সময়ই আমাদের পাশে আছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন যাবত তিনি অর্থ, শ্রম, প্রচেষ্টা ইত্যাদি দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করে আসছেন। মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপির একক প্রচেষ্টায় বিজিবি-বিএসএফ’র সেক্টর পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের যৌথ উদ্যোগে সীমান্তবর্তী নদীতে শানের পাকা ঘাট নির্মানের অনুমোদন দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট এই কাজেও তিনি অর্থায়ন করেছেন। সংসদ সদস্যের অনুকূলে বরাদ্দ কাবিটা থেকে দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছেন এমপি মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।’
সাধারণ সম্পাদক সন্দ্বীপ রায় জানান- ‘৪০ ফুটের শানের ঘাট নির্মাণ হচ্ছে। শানের এক পাশে শিব মন্দির নির্মিত হবে। ভক্তগণ স্নান করে শিবের মাথায় জল দিবেন। আর এক পাশে গঙ্গা মন্দির নির্মাণ করা হবে। তাছাড়া মন্দিরের জমি ভেঙ্গে যাতে নদীতে না যায় সে দিকে লক্ষ্য রেখে নদীর পাশ বাঁধানো হচ্ছে। এই সব কাজ সম্পূর্ণ পাথর দিয়ে নির্মান হচ্ছে। এ সকল কাজ সম্পন্ন করতে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। শানের কাজ সম্পন্ন হলে প্রতি বছর এই আশ্রমে আসা লক্ষাধিক ভক্ত ও দর্শনার্থীদের সুবিধা হবে।’
সন্দ্বীপ রায় আরো বলেন- ‘এই শানের ঘাট নির্মাণ হয়েছে নাম না জানা এক ভক্তের টাকায়। এবার নদীর পাঁড় বাঁধানো হবে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের দানের টাকায়। ৪০০ ফুট নদীর পাড় ৭ ফুট মাটির নিচ থেকে কাজ শুরু করে মাটির উপরে ২০ ফুট উচ্চতা হবে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন