কলারোয়ায় ক্যান্সারে আক্রান্ত নয়নের চিকিৎসার্থে অনুদান হস্তান্তর, সহায়তার আবেদন

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রাজু আহমেদ নয়নের চিকিৎসা খরচের সাহাযার্থে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আব্দুল গফুর। একই সাথে ৪ হাজার ১’শ টাকা প্রদান করেছে কলারোয়া পল্লী প্রাণী চিকিৎসক এসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দুপুরে উপজেলা অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে অনুদানের ওই টাকা নয়নের ভাইয়ের হাতে তুলে দেয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আব্দুল গফুরের পক্ষে তার ভাই কলারোয়া সরকারি জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব এবং কলারোয়া পল্লী প্রাণী চিকিৎসক এসোসিয়েশনের সভাপতি ইউনুস আলী ও সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টুর মাধ্যমে অনুদানের অর্থ হস্তান্তর করেন।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান লাল্টু বলেন, ‘আমার গ্রামের ছেলে নয়ন দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন। কেমোথেরাপিসহ তার চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। সামর্থ্য অনুযায়ী সকলে তার সহযোগীতায় এগিয়ে আসুন, তার জন্য দোয়া করবেন। ইতোমধ্যে কোমলমতি অনেক শিক্ষার্থী নয়নের জন্য মানবিক সহায়তার লক্ষ্যে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। অনেকে সহায়তা করেছেন, করছে- তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
নয়নের সহায়তায় তার পাশে দাঁড়াতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
স্বেচ্ছাশ্রমে অনুদান সংগ্রহকারী কোমলমতি কয়েকজন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আলহাজ মো. আবু নসর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি, কলারোয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ মোসলেম আহমেদ, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হাবিব প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক এমএ মাসুদ রানা।
পরে বিশেষ দোয়ানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ সুলতান মাহমুদ।
উল্লেখ্য, এসএসসি ২০১৬ সালের ব্যাচের ছাত্র নয়ন। বয়স খুব জোর ২২ বছর। বাসা সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া পৌরসভাধীন মুরারীকাটি ৮নং ওয়ার্ডের ফকির পাড়ায়। পিতার নাম রুহুল আমিন। এখন সে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। ২ মাস আগে এই কঠিন রোগটি ধরা পড়ে নয়নের।
পরিবারের আর্থিক অবস্থা মারাত্মক খারাপ। স্বাভাবিকভাবেই কলারোয়া বাজারে একটি মোবাইলের দোকানে সেলস ম্যান হিসেবে কাজ করতো সে। সেখান থেকে পাওয়া সামান্য বেতন থেকেই চলতো সংসারের খরচ। পড়ালেখা ছিলো মূলত পরীক্ষার সময় পরীক্ষা দেয়ার মতোই।
কিন্তু আজ সে কঠিন ও ব্যয়বহুল রোগে আক্রান্ত। ঠিকানা হয়েছে হাসপাতালের বেড। একবার কলারোয়া, আরেকবার ঢাকার ক্যান্সার হাসপাতাল।