একাদশ শ্রেণীতে

কলেজে ভর্তির আবেদন শুধুমাত্র অনলাইনে

চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীদের একাদশে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে ২৬ মে। তবে সোমবার (১৩ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে বৈঠক হবে। সেখানে চূড়ান্ত হবে দিনক্ষণ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, একাদশে ভর্তির আবেদন, ভর্তির সময়সীমার খসড়া করা হয়েছে। সেখানে ২৬ মে তারিখ থেকে আবেদন শুরুর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে তা চূড়ান্ত হতে পারে।

মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব জানান, গত বছরের মতো এবারও উত্তীর্ণদের ফলাফল ও পছন্দের ভিত্তিতে কলেজ বরাদ্দ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ভর্তির জন্য কোনো পরীক্ষা বা হাতে হাতে কোনো আবেদন নেওয়া যাবে না। শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন করতে পারবে।

জানা গেছে, চলতি বছরও অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদন করতে হবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবেন, তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

তবে যেসব শিক্ষার্থী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন হিসেবে এসএসসি পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এছাড়া প্রবাসীদের সন্তান ও বিকেএসপি থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে বোর্ড প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থীকে ভর্তির ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে, খ্রিস্টান মিশনারি পরিচালিত কলেজগুলো বিশেষ সুবিধা পাওয়ায়, তারা লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করবে। কলেজগুলো হলো- নটর ডেম, হলিক্রস কলেজ, সেন্ট জোসেফ ও সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

গ্রুপ নির্বাচন যেভাবে
বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যে কোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণরা শুধু এই দুই গ্রুপের মধ্য থেকে যে কোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন।

রোববার (১২ মে) চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। তাদের মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। সেই হিসাবে গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্র ৮ লাখ ৬ হাজার ৫৫৩ এবং ছাত্রী ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ জন। ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থী।

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত বছরের চেয়ে এবার পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৬১ শতাংশ। তবে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। সেই হিসাবে এবার জিপিএ-৫ কমেছে ১ হাজার ৪৪৯।