কাচা কলা জামালপুরের অর্থকরী ফসল
কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা জামালপুর। এ জেলাকে ঘিরে সরকার কৃষি নির্ভর বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে থাকে। কৃষি বিভাগ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় অনেকে কাঁচা কলা চাষে ঝুঁকে পড়েছে। ফলন বেশি পাওয়ায় অনেক কৃষক পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। ফলে কাঁচা কলা অর্থকরী ফসলে পরিনত হয়েছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলায় কাঁচা কলা চাষ ব্যপক আকার ধারন করেছে। কাঁচা কলা চাষ জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় শ্রীপুর, বাশচড়া, পলাশতলা, সাহাবাজপুর, নান্দিনা, নরুন্দি, ঘোড়াধাপ, গোপালপুর, সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় কাঁচা কলা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে দেখা ও জানা গেছে বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে ফসলি জমিতে অসংখ্য কাঁচা কলার বাগান। কথা হয় কৃষক সাদেক আলী(৫০) এর সাথে তিনি বলেন ৫বিঘা জমিতে কাঁচা কলার বাগান করে লাক্ষ্যাধিক টাকা আয় হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ এলাকার অনেকেই কাঁচা কলার বাগান করে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে। ফলে কাঁচা কলার চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
সরকারের কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্প কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষবাড়ী উপজেলায় ব্যপক ভাবে বাস্তবায়ন করেছে। সরকারের এ প্রকল্পের মাধ্যমে অধিকাংশ কৃষক স¦াবলম্বিতা অর্জন করেছে। পাশাপাশি কাঁচা কলা চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাঁচা কলার বাগান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, পোগলদিঘা, মেষ্টা, পাররামপুর, বাট্রাজোর, সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় সফল ভাবে বাস্তবায়ন করেছে। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে অধিকাংশ কাঁচা কলা চাষীর সাথে কথা হয় তারা জানান কৃষক বান্ধব আওয়ামীলীগ সরকার কৃষকদের স্বনির্ভরতা করার লক্ষ্যে বহুবিধ প্রকল্প হাতে নিয়ে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। কাঁচা কলার চাষের জন্য কৃষি বিভাগের মাধ্যমে কৃষকদের ব্যপক সহায়তা করা হয়েছে। তাদের সহায়তার কারনে গ্রামীন অর্থনীতি সচল হয়ে পড়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন