কাতারের আমিরকে ট্রাম্পের ফোন
উপসাগরীয় অঞ্চলে সংকট নিরসনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারের আমিরকে ফোন করেছেন। এ সময় তিনি দেশগুলোর মধ্যে দূরত্ব দূর করতে সহায়তা করারও প্রস্তাব দেন। খবর এএফপির।
কাতারকে একঘরে করা নিয়ে বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর ঐক্য বহাল রাখার জন্য মাত্র এক দিন আগে সৌদি বাদশাহর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। জঙ্গি তৎপরতায় সহায়তার অভিযোগ এনে গত সোমবার সৌদি আরবের নেতৃত্বে সাতটি দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। কাতারের সঙ্গে দেশগুলোর সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘটনায় নিজের কৃতিত্বও দাবি করেছিলেন ট্রাম্প।
গতকাল বুধবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানিকে ফোন করেন ট্রাম্প।
কাতারের সরকারি কর্তৃপক্ষকে উদ্ধৃত করে এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ফোনে ট্রাম্প আরব দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সংকটের সমাধান খুঁজতে তাঁর প্রস্তুতির কথা প্রকাশ করেন এবং এ অঞ্চলকে স্থিতিশীল করতে তাঁর আগ্রহের ওপর জোর দেন।
ট্রাম্পের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট দেশগুলোর মধ্যে দূরত্ব দূর করতে সহায়তা করার প্রস্তাব দেন। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউসে বৈঠক করা যেতে পারে বলেও জানান তিনি।
আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি ও সন্ত্রাসবাদ উসকে দেওয়ার অভিযোগে গত সোমবার কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, বাহরাইন, ইয়েমেন ও লিবিয়া। পরে মালদ্বীপও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছেদের কথা জানায়। গতকাল বুধবার কাতার ভ্রমণে শ্রমিকদের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ফিলিপাইন। তবে আজ বৃহস্পতিবার এ নিষেধাজ্ঞা আংশিক তুলে নিয়ে দেশটি জানায়, নতুনভাবে শ্রমিক পাঠানো হবে না। তবে যেসব শ্রমিক আগে থেকেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন, কাতারে তাঁরা থাকতে পারবেন।
জঙ্গি তৎপরতায় যুক্ত থাকার সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে কাতার।
শাসক পরিবর্তন চেয়ে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়নি বলে গতকাল এএফপিকে জানান সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আনোয়ার গারগ্যাশ। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসবাদে কাতার চ্যাম্পিয়ন। তবে সম্পর্ক ছিন্ন করার পেছনে কাতারে নতুন নেতৃত্ব খোঁজা তাঁদের উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য হচ্ছে—দেশটির নীতি ও অবস্থান পরিবর্তন হোক।
চলমান সমস্যার সমাধানে কুয়েত মধ্যস্থতা করছে। দেশটির আমির শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-সাবাহ দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুয়াম ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গতকাল বৈঠক করেছেন। এর আগের দিন তিনি সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদের সঙ্গে কথা বলেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর শেষে তিনি কাতার সফরে যাবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
এর আগেও ২০১৪ সালে সৌদি আরব, কাতারসহ অন্যান্য আরব দেশের মধ্যে কূটনৈতিক বিরোধ নিরসনে ভূমিকা রেখেছিল কুয়েত।
সমস্যার সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও রাশিয়া আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছে। তবে কাতারের পক্ষে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক। কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও উন্নয়ন করার কথা বলেছে দেশটি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন