কাতারের পাশে ওমান-কুয়েত-পাকিস্তান
সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার অজুহাতে কাতারের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেছে অর্ধডজন মুসলিম দেশ। সৌদি আরব ও মিশর অন্যান্য মুসলিম ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ দেশগুলোকে তাদের আহ্বানে সাড়া দিতে বললেও দুটি দেশ ছাড়া কেউ এ আহ্বারে সাড়া দেয়নি। মালদ্বীপ ও ইয়েমেনের একাংশ কাতারের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ব্যাপারে ঐকমত্য দেখিয়েছে।
এদিকে দোহার সাথে সম্পর্কচ্ছেদের বিষয়টি সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাফিস জাকারিয়া বলেছেন, কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে না ইসলামাবাদ। মধ্যপ্রাচ্যের আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ কুয়েত ও ওমান কাতারের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করছে না। কাতার ইস্যুতে চলমান সংকট অব্যাহত থাকলে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া ও জিসিসির ভবিষ্যত শঙ্কায় ফেলবে বলে ভয় কুয়েত ও ওমানের। কুয়েতের আমির তাই কাতারের আমিরকে অনুরোধ করেছেন তারা যেন দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে না ফেলেন।
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংকট নিয়ে আলোচনা করার জন্য মঙ্গলবার সৌদি আরব যাচ্ছেন কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল সাবাহ। মধ্যপ্রাচ্যে খুবই সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত কাতারের আমির। শুরু থেকেই দু’পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন তিনি। চলমান সংকট নিয়ে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির। কিন্তু কুয়েতের আমিরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে সে ভাষণ স্থগিত করেছেন তিনি।
কাতার ইস্যুতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েফ এরদোয়ান। পুতিন-এরদোয়ান আলাপে দুই নেতা কাতারের কূটনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। এর আগে, তুরস্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমস্যা সমাধানে কাতার ও অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে মধ্যস্থতায় প্রস্তুত আঙ্কারা।
উল্লেখ্য, সোমবার কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় ছয়টি আরব দেশ। দেশগুলো হচ্ছে সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন, লিবিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন। দেশগুলোর পক্ষ থেকে কাতারের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি ও সন্ত্রাসবাদ উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে কাতার বলছে, ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর লক্ষ্য পরিষ্কার। তারা আমাদের ওপর রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার এবং খবরদারি করতে চায়। এটা কাতারের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন