কাতারে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত তুরস্কের
কাতারের সঙ্গে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্নের পর দেশটিতে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক। ৭ জুন ২০১৭ বুধবার এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় তুরস্কের পার্লামেন্ট। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়েছে, এ সিদ্ধান্ত অনুসারে কাতারের একটি তুর্কি সামরিক ঘাঁটিতে সেনা মোতায়েন করবে। এই প্রস্তাবটি প্রথম খসড়া করা হয়েছিল চলতি বছরের মে মাসে। বুধবার তা দেশটির পার্লামেন্টে ২৪০ ভোটে পাস হয়। প্রস্তাবটিতে সমর্থন দেয় ক্ষমতাসীন একে পার্টি ও জাতীয়বাদী বিরোধী দল এমএইচপি।
মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি আরব দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার পর তুরস্ক দেশটিতে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল।
তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরেই কাতারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে আসছে। কাতারের মিত্র দেশগুলোর মধ্যে তুরস্ক রয়েছে। কাতারে তুরস্ক একটি সেনা ঘাঁটি নির্মাণ করছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপে সংকটের সমাধান হবে না। এ সংকটে কাতারকে সব ধরনের সহযোগিতা ও সমাধানে সব শক্তি কাজে লাগাবে তুরস্ক।
২০১৪ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম সামরিক ঘাঁটি কাতারে গড়ে তুলছে তুরস্ক। ২০১৬ সালে ওই সময়কার তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোলগু সামরিক ঘাঁটিটি পরিদর্শন করেন। এরই মধ্যে ঘাঁটিটিতে দেড়শ সেনা মোতায়েন রয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার (৫ জুন) কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের ৬ দেশ। প্রথমে সৌদি আরব, বাহরাইন ও পরে তাদের ধারাবাহিকতায় মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লিবিয়া ও ইয়েমেন কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। ইয়েমেনে কথিত সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধের আরব জোট থেকেও বাদ দেওয়া হয় কাতারকে। সম্পর্ক ছিন্নকারী দেশগুলো ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপও ঘোষণা করে। তবে কাতার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সূত্র: আল জাজিরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন