কাদেরকে দেখতে হাসপাতালে ফখরুলসহ বিএনপির প্রতিনিধি দল
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ‘জীবন শঙ্কায়’ থাকা চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।
রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
শায়রুল জানান, গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে নেতারা রওয়ানা হয়েছেন। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতারা।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দল রাত ৮টার দিকে রওনা দিয়েছে। এতক্ষণ হয়তো হাসপাতালে পৌঁছে গেছে।
ইতিমধ্যে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় হাসপাতালে পৌঁছেছে সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
এরআগে সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানান, ওবায়দুল কাদেরকে ডাকলে অল্প অল্প সাড়া দিচ্ছেন, তবে তার অবস্থা এখনও আশঙ্কামুক্ত নয়।
চিকিৎসকরা জানান, রাতে ঢাকায় আসছেন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তারা আসার পর মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এই মুহূর্তে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই উল্লেখ করে চিকিৎসকরা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক পরিস্থিতি বারবার অবনতি হচ্ছে। এ কারণে এই মুহূর্তে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই।
এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে ওবায়দুল কাদেরকে বিএসএমএমইউর ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেয়া হয়।
সেখান থেকে জরুরি ভিত্তিতে তাকে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে এনজিওগ্রাম শেষে ওবায়দুল কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ার কথা জানান চিকিৎসকরা।
লাইফ সাপোর্টে থাকা চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে কাদের কাদের বলে ডাকতেই চোখের পাতা নড়ে উঠে। এতে হতবাক হয়ে যায় আশপাশে থাকা সবাই।
রোববার বিকালে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে আসেন। এ সময় কাদেরের শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তিনি।
এরপর প্রধানমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শয্যাপাশে দাঁড়িয়ে কাদের কাদের বলে ডাকতেই চোখের পাতা নড়ে উঠে ওবায়দুল কাদেরের। এ সময় উপস্থিত সবাই বিস্মিত হয়ে যান।
আইসিইউর ভেন্টিলেশন সাপোর্টে থাকা যে ব্যক্তিটি সকাল থেকে মৃতপ্রায়, সে লোকটি কিনা প্রধানমন্ত্রীর ডাকে চোখের পাতা নাড়ালেন, এটা কি ভ্রম নাকি কাকতলীয়ভাবে নেত্রীর ডাকে সাড়া দেয়া। এরপর নেত্রী আরও দু-একবার ডাকলেন কিন্তু আর কোনো সাড়া নেই তার।
এরপরপরই ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে হাসপাতালে আসেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। এছাড়া হাসপাতালে ছুটে আসেন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতকর্মীরা।
এদিন সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানান, ওবায়দুল কাদেরকে ডাকলে অল্প অল্প সাড়া দিচ্ছেন, তবে তার অবস্থা এখনও আশঙ্কামুক্ত নয়।
চিকিৎসকরা জানান, রাতে ঢাকায় আসছেন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তারা আসার পর মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এই মুহূর্তে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই উল্লেখ করে চিকিৎসকরা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক পরিস্থিতি বারবার অবনতি হচ্ছে। এ কারণে এই মুহূর্তে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই।
বিএসএমএমইউ’র কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী আহসান জানান, ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল তবে শঙ্কামুক্ত নন। আগামী ৭২ ঘন্টা তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
অধ্যাপক আলী আহসান বলেন, এনজিওগ্রাম করানো হলে তার তিনটি আর্টারিতে (অক্সিজেনবাহী রক্তনালী, ধমনী) ব্লক পাওয়া যায়। তার আগে থেকেই ডায়াবেটিস ছিল, সেটিও এসময় একদমই অনিয়ন্ত্রিত ছিল। এ অবস্থায় আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নেই, তার হৃদযন্ত্রের বাম পাশের প্রধান যে ধমনী, যেটাকে আমরা এলএডি (লেফট অ্যান্টেরিয়র ডিসেন্ডিং) আর্টারি বলি, সেটা খুলে দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে পিসিআইয়ের (পারকিউটেনাস করোনারি ইন্টারভেনশন) মাধ্যমে তার ওই ধমনীতে স্টেনটিং (রিং পরানো) করা হয়।
আলী আহসান বলেন, এ সময় ওবায়দুল কাদের ঘণ্টা দুয়েক ভালো ছিলেন। তারপর ফের তার অবস্থার অবনতি ঘটে। ইলেকট্রোলাইন ইমব্যালেন্স (রক্তে ক্যালসিয়াম, ক্লোরাইড, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম প্রভৃতি পদার্থের মাত্রায় অসামঞ্জস্যতা) দেখা দেয়।
ওবায়দুল কাদেরের সর্বশেষ অবস্থা প্রসঙ্গে অধ্যাপক আলী আহসান বলেন, এখন তিনি অনেকটাই স্ট্যাবল। চোখ খুলছেন, কথা বলার চেষ্টা করছেন। পা নাড়াচ্ছেন। তবে তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল।
এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে ওবায়দুল কাদেরকে বিএসএমএমইউর ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেয়া হয়।
সেখান থেকে জরুরি ভিত্তিতে তাকে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে এনজিওগ্রাম শেষে ওবায়দুল কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ার কথা জানান চিকিৎসকরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন