কাদেরের পথসভা, ট্রেন ছাড়ল ৩০ মিনিট দেরিতে
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী ট্রেন যাত্রাকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইল রেল স্টেশনে সাধারণ যাত্রীদের আজ সকালে বিস্তর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সাধারণত নীলসাগর ট্রেনটি টাঙ্গাইল স্টেশনে দুই মিনিটের জন্য থামে। কিন্তু ওবায়দুল কাদেরের রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে আজ ট্রেনটি ৩০ মিনিট বিলম্ব ছেড়ে যায়।
দলীয় সাধারণ সম্পাদকের আগমন উপলক্ষে আজ সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের শত শত নেতা-কর্মী রেল স্টেশনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে শুরু করে। প্রচুর লোকের ভিড়ে রেল স্টেশনের টিকিট বিক্রিসহ স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়।
নীলসাগর ট্রেনটি স্বাভাবিক অবস্থায় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে টাঙ্গাইল স্টেশনে প্রবেশ করে এবং দুই মিনিট যাত্রা বিরতি দিয়ে ১০টা ১২ মিনিটে টাঙ্গাইল স্টেশন ত্যাগ করে। কিন্তু আজ স্টেশনে প্রবেশ করে ১০টা ৩৩ মিনিটে। সেখান থেকে ছাড়ার কথা ছিল ১০টা ৩৫ মিনিটে। কিন্তু ওবায়দুল কাদের ট্রেন থেকে নেমে স্টেশন চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত পথ সভায় বক্তৃতা করেন। বক্তৃতা শেষে কাদের ট্রেনে ওঠার পর ১১টা পাঁচ মিনিটে ট্রেনটি ছেড়ে যায়, অর্থাৎ ৩০ মিনিট দেরিতে স্টেশন ছেড়ে যায়।
নির্বাচনী ট্রেন অভিযাত্রায় উত্তরবঙ্গ সফরের অংশ হিসেবে ওবায়দুল কাদের টাঙ্গাইল রেল স্টেশনে পথসভায় বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনে ব্যর্থ। তারা নয় বছরে নয় মিনিটও আন্দোলন করতে পারেনি। তাই তারা ২০১৪ সালের মতো আবারও সন্ত্রাস-নৈরাজ্য করে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেল দিতে তৎপরতা শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের এই সন্ত্রাস প্রতিরোধ করবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আগামী ডিসেম্বরে বিজয়ের মাসে পরাজিত শক্তিকে আবারও পরাজিত করে বিজয়ী হব।’
দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলের সঙ্গে কেউ বিরোধিতা করবেন না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা দলের মনোনীতদের বিরোধিতা করবেন তাদের তাৎক্ষণিক দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণ আর বিএনপির দুঃশাসনে যেতে চায় না। দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। তাতে জনগণ আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবে। বিএনপি-জামায়াতের একমাত্র পুঁজি গুজবসন্ত্রাস। তারা গুজবসন্ত্রাস চালিয়ে আপনাদের বিভ্রান্ত করছে। আপনারা এই গুজবসন্ত্রাস থেকে সতর্ক থাকবেন।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খানের সভাপতিত্বে পথসভায় আরও বক্তব্য দেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম। ওয়বায়দুল কাদেরের সফরসঙ্গী হিসেবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, প্রচার সম্পাদক হাসান মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন