কাদেরের বক্তব্যেই দুর্নীতির স্বীকারোক্তি : আব্বাস
রাজনীতিবিদরা সৎ হলে দুর্নীতি অর্ধেক কমে যাবে বলে আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যেই সরকারের দুর্নীতির স্বীকারোক্তি আছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস।
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় এ কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তারেক রহমানের ৫৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনার আয়োজন করে জিয়া পরিষদ নামের একটি সংগঠন।
আলোচনায় আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দাবি ছাড়াও সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য তুলে ধরে একেই প্রমাণ হিসেবে দেখান বিএনপি নেতারা।
শুক্রবার আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির এক আলোচনায় ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের মধ্যে কয়জন বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে আমি সৎ? আমি শতভাগ সৎ মানুষ? কয়জন বলতে পারবে? এখানেই সমস্যা।…আমরা রাজনীতিকরা যদি দুর্নীতিমুক্ত থাকি তবে দেশের দুর্নীতি আটোমেটিক্যালি অর্ধেক কমে যাবে।’
কাদেরের বক্তব্যই দুর্নীতিতে ক্ষমতাসীনদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ হিসেবে দেখছেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘তাদের (আওয়ামী লীগ) সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতিবিদেরা দুর্নীতি করে। আমিও বলছি আওয়ামী লীগ দুর্নীতি করে বলেই ওবায়দুল কাদের সে কথা বলেছেন, মনে রাখতে হবে বিএনপি দুর্নীতি করে না।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে দেশে কোন নির্বাচন হবে না বলে বলেও হুঁশিয়ারি দেন আব্বাস। বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হবে না, সেটা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই।’
জিয়া পরিবার ও জনগণকে সবচেয়ে আওয়ামী লীগ বেশি ভয় পায় বলেই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নিয়ে তারা ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ করা হয় আলোচনায়। বলা হয়, সব ‘ষড়যন্ত্র’ই মোকাবেলা করেই তারেক রহমান বাংলাদেশে ফিরে আসবেন।
জিয়া পরিষদের সভাপতি কবির মুরাদের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, জিয়া পরিষদের সদস্য শফিকুল ইসলাম, জে কিউ মোস্তাফিজুর রহমান, এমতাজ হোসেন প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন