কানাডাগামী ৪২ জন যাত্রীকে ফেরত! বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান কে লিগ্যাল নোটিশ
সম্প্রতি ৭ই নভেম্বর ২০২৩ ইং ধরে কানাডা যাওয়ার পথে ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান কর্তৃপক্ষ ৪২ সিলেটিকে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় সিলেট জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বৈধ ভিসা সত্ত্বেও তাদেরকে যেতে বাধা দেওয়ায় তোলপাড় চলছে। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের ছাড় দিলেও বিমান আটকে দেয়ার ঘটনা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।
অনেকেই বিমান কর্তৃপক্ষের এই এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এসবের ব্যাখ্যা চেয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান বরাবরে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী সিলেটের কাজী মোশাররফ রাশেদ। ৭ই নভেম্বর ২০২৩ ইং (মঙ্গলবার) ৪২ জন যাত্রীর পক্ষে তথা জনস্বার্থে জালালাবাদ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ সিলেটের উদ্যোগে এই লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা হয়। বিমান চেয়ারম্যানকে নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর অনুরোধ জানানো হয়।
নোটিশ সূত্রে জানা যায়, আইনবহির্ভূত ভাবে বিমানের কর্তব্যরত কর্মকর্তাগণ গত ৬ নভেম্বর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কানাডাগামী ৪২ জন যাত্রীকে বাড়ীতে ফেরত পাঠিয়েছে। অথচ এরা প্রত্যেকে কানাডার বৈধ ভিসা নিয়ে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ঢাকা গিয়ে ট্রানজিট লাউঞ্জে টরেন্টোগামী বিমানের কানেকটিং ফ্লাইটের অপেক্ষায় ছিলেন।
বিমানের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন যে আমন্ত্রণপত্রের মাধ্যমে তারা ভিসা পেয়েছেন সেটা ছিল ভূয়া। বিমানের লোকেরা বলছে বিয়ের আমন্ত্রণ পত্রটি ছিল ভূয়া। তারা আরও বলেন, যাদের ভিসা হয়েছে তাদের বেশির ভাগই এর আগে দেশের বাইরে কোথাও বেড়াতে যাননি। এটাই তাদের প্রথম সফর।
উল্লেখ্য যে, কানাডা হাইকমিশন কর্তৃক উক্ত ৪২ জন যাত্রীর প্রত্যেককে বৈধ ভিসা ইস্যু করেছে। প্রত্যেক যাত্রী কানাডা যাওয়ার নিমিত্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নির্দিষ্ট তারিখের নির্ধারিত মূল্যের বিমান টিকেট ক্রয় করেন। এরপর তারা সিলেট থেকে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করেই ঢাকা যান।
নোটিলে বলা হয়- ৬ই নভেম্বর শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমানের কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তথা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলা ও অন্যায় ভাবে, বেআইনী ও বিনা অধিকারে যাত্রী হয়রানীর অভিযোগে, সংশ্লিষ্ঠ ভুক্তভোগীদের পক্ষে তাদের মানহানি ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে, আইনগত ব্যবস্থা কেন নেওয়া হইবে না, তা অত্র নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বিমান চেয়ারম্যানের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
অন্যথায় উপরোক্ত মোতাবেক সংশ্লিষ্ট ৪২ জন যাত্রীর ব্যক্তিগত হয়রানী, মানহানি ও অপূরণীয় আর্থিক ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে বিমান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেওয়ানী ও ফৌজদারী এমনকি উচ্চ আদালতে সংবিধানের আর্টিকেল ১০২ মোতাবেক মোকদ্দমা দায়ের করা হবে। এক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত যাবতীয় দায়-দায়িত্ব বিমান চেয়ারম্যানের উপর বর্তাবে এবং যাবতীয় ক্ষতি পূরণ পরিশোধে বাধ্য থাকবেন।
এদিকে উক্ত নোটিশের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী, জাতীয় ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক বরাবরে প্রেরণ করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন