কানাডার নির্বাচনে পাঞ্জাবি বংশোদ্ভূত রেকর্ড ২২ প্রার্থীর জয়

কানাডায় ২০২৫ সালের জাতীয় নির্বাচনে পাঞ্জাবি বংশোদ্ভূত প্রার্থীদের ঐতিহাসিক সাফল্য দেখা গেছে। এই নির্বাচনে মোট ২২ জন পাঞ্জাবি বংশোদ্ভূত প্রার্থী হাউস অব কমন্সে জয়লাভ করেছেন, যা দেশটির পার্লামেন্টের মোট সদস্য সংখ্যার ছয় শতাংশেরও বেশি।
ব্র্যাম্পটন শহরে, যেখানে পাঞ্জাবি সম্প্রদায়ের প্রভাব অনেক বেশি, সেখানে ফলাফল ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই শহরের পাঁচটি আসনে পাঞ্জাবি নামধারী প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা লক্ষ্য করা গেছে।
ব্র্যাম্পটন নর্থে লিবারেল দলের রুবি সাহোতা কনজারভেটিভ প্রার্থী আমনদীপ জাজকে পরাজিত করেন। ব্র্যাম্পটন ইস্টে লিবারেল দলের মানিন্দর সিদ্ধু কনজারভেটিভ বব দোসাঞ্জকে হারান এবং ব্র্যাম্পটন সাউথে লিবারেল সোনিয়া সিদ্ধু কনজারভেটিভ সুখদীপ কাংকে পরাজিত করেন।
ব্র্যাম্পটনের বাইরেও পাঞ্জাবি-কানাডীয় রাজনীতিকরা উল্লেখযোগ্য জয় পেয়েছেন। সাবেক উদ্ভাবনমন্ত্রী আনিতা আনন্দ তার ওকভিল ইস্ট আসনে জয়ী হয়েছেন। ওয়াটারলুতে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে কাজের জন্য পরিচিত বর্ষীয়ান রাজনীতিক বারদিশ চাগারও জয়ী হয়েছেন।
লিবারেল পার্টির আরও বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন: অঞ্জু ধিলোঁ, সুখ ধালিওয়াল, রণদীপ সারাই এবং পরম বেইন্স।
অন্যদিকে, কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষে জয়ী হয়েছেন: জসরাজ হাল্লান, দলবিন্দর গিল, অমনপ্রীত গিল, অর্পণ খান্না, টিম উর্পাল, পরম গিল, সুখমান গিল, জাগশরণ সিং মহল এবং হারব গিল।
তবে সব পাঞ্জাবি নেতার ফল সুখকর হয়নি। নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) নেতা জগমীত সিং তার বার্নাবি সেন্ট্রাল আসনে তৃতীয় হয়ে পরাজিত হন এবং এরপর এনডিপির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এই ফলাফল কানাডার রাজনৈতিক অঙ্গনে চমক সৃষ্টি করেছে।
এই নির্বাচনের ফলাফল প্রমাণ করে, কানাডার রাজনীতিতে পাঞ্জাবি-শিখ সম্প্রদায়ের প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে এবং তারা বিশ্বের অন্যতম প্রগতিশীল গণতন্ত্রে নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
সূত্র: এনডিটিভি

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন