কাবিন ছাড়াই বিয়ে, বদলি হয়ে স্ত্রী-সন্তানকে অস্বীকার
            
                     
                        
       		গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সি রুহুল আসলামকে সন্তানের বাবা দাবি করে এক শিক্ষিকা আদালতে মামলা করেছেন।
গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়েরের পর গত ৩ জুলাই ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার এজাহার ও শিক্ষিকার ভাষ্য, তিনি কাশিয়ানী উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে ২০১০ সালে যোগ দেন। চাকরির সুবাদে ওই শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১২ সালে কাবিন ছাড়াই বিয়ে করেন তারা। এরপর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একসঙ্গে থাকছিলেন তারা। বিয়ের দুই বছর পর তিনি পুত্রসন্তানের মা হন।
ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, এরপর রুহুল বদলি হয়ে মুকসুদপুর উপজেলায় গিয়ে এ বিয়ে অস্বীকার করেন। বিষয়টি এত দিন আপসের চেষ্টায় থাকায় মামলা করেননি বলে জানান ওই শিক্ষকা।
এদিকে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুলের বহু নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলেও নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেছেন। তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তার এসব কর্মকাণ্ড তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
তবে শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি সৎ ও চরিত্রবান। আমি কোনো দুর্নীতি ও নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত নই। মামলার ঘটনাটি সাজানো। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ফাঁসাতে মিথ্যা মামলা করেছেন ওই শিক্ষিকা।
এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে ডিএনএ টেস্টের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
 
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




