কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকছেন ফাতেমা
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে সাজা ঘোষণার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে আদালতের অনুমতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে থাকছেন ফাতেমা বেগম (৩৫)। ফাতেমা দীর্ঘদিন ধরে খালেদা জিয়ার গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।
আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার বয়স হয়েছে। তিনি অনেক রোগে অসুস্থ। তাই আমরা আদালতের কাছে আবেদন করেছিলাম গৃহকর্মী ফাতেমাকে সঙ্গে দেওয়ার জন্য। আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করেছেন। কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে একই সেলে থাকবেন ফাতেমা বেগম।
আজ গুলশানের বাসা থেকে ফাতেমাকে নিয়ে একই গাড়িতে করে আদালতে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া। রায় পড়ার সময়ও তাঁর সঙ্গেই ছিলেন ফাতেমা। আদালতের রায় পড়া শেষ হলে বিচারকরা কক্ষ ত্যাগ করেন। এরপর খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে,পরিচর্যার জন্য ফাতেমাকে তাঁর সঙ্গে কারাগারে রাখার আবেদন জানান আইনজীবীরা। আবেদনে স্বীকৃতি দিয়ে এ বিষয়ে একটি আবেদনপত্র দেওয়ার জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন বিচারক। আদালতের স্বীকৃতি পেলে, ফাতেমাকে নিয়ে নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারের দিকে রওনা দেন খালেদা জিয়া।
সানাউল্লাহ মিয়া জানান, মামলার রায়কে কেন্দ্র করে গৃহকর্মী ফাতেমা বেগমকেও কিছুদিনের জন্য পারিবারিক জীবন থেকে দূরে থাকার মানসিক প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। রায়ের পর কারাগারে যেতে হলে গৃহকর্মী ফাতেমাকে সঙ্গে নেওয়ার আবেদন জানাবেন বলেও জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়া এবং আরো দুই আসামি মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সলিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন