কারাগারে পৌঁছে খালেদা জিয়া পেঁপের জুস, ফল খান

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে সাজা ঘোষণার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। কারাগারে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে পেঁপের জুস খেতে দেওয়া হয়। এরপর আপেল, আঙুর, কমলাসহ বেশ কয়েক ধরনের ফল দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ রায় দেন। মোট ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের বিশেষ অংশ পাঠ করেন বিচারক। ওই রায়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পর পরই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে পুরান কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে আদালতের অনুমতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে থাকছেন ফাতেমা বেগম (৩৫)। ফাতেমা দীর্ঘদিন ধরে খালেদা জিয়ার গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করছেন।

কেন্দ্রীয় কারাগারের চিকিৎসক আহসান হাবিবের উদ্ধৃতি দিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁর ব্লাডপ্রেশার স্বাভাবিক রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কারা কর্মকর্তা জানান, খালেদা জিয়াকে বিশাল একটি কক্ষ দেওয়া হয়েছে। ওই কক্ষটি আগে জেল সুপারের দপ্তর হিসেবে ব্যবহার করা হতো। কক্ষটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। সেখানে এসি লাগানো হয়েছে, দেওয়া হয়েছে টিভির সংযোগ। এ ছাড়া রান্নাঘর, স্বাস্থ্যসম্মত প্রসাধন কক্ষ ও আরামদায়ক বিছানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কয়েকবারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি একটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রধান। তাঁর সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করেই তাঁকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারের বিশেষ একটি সেলে রাখা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগারে রাখার কারণ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘কারাবিধি অনুযায়ী খালেদা জিয়া কারাগারে বিশেষ মর্যাদা পাবেন। তাঁর প্রাপ্য সব সুযোগ-সুবিধাই তাঁকে দেওয়া হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কারাগারের ভেতরে এটি একটি ডে-কেয়ার সেন্টার।’