কারাবন্দিদের মেন্যুতে কোরবানির মাংস রুইমাছ ডিম

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আত্মার পরিশুদ্ধি, ধনী-গরিব, উঁচু-নিচু সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সৌহার্দ্য ও সংহতি প্রকাশের এক উদার উৎসব। ঈদের এই দিনটি প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানোর জন্য কতই না ভোগান্তি পেরিয়ে পরিবারের কাছে ফিরে যায় সবাই।

তবে কারাগেরের বন্দিদের জন্য এদিনটা একটু ভিন্ন। দিনটিতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকতে না পারলেও ভরপুর খাওয়া-দাওয়া ও আনন্দ উল্লাসের সুযোগ থাকছে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ১০ হাজার বন্দির জন্য।

কারা সূত্র জানায়, ভোর ৭টায় পায়েস, মুড়ি আর সেমাই দিয়ে শুরু হয় তাদের ঈদভোজের। ঈদের নামাজের আগে তাদের প্রত্যেকের সেলে পৌঁছে যায় এই খাবার। এরপর কারাগারের ভেতরের ময়দানে ঈদুল আজহার একমাত্র জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কারাগার মসজিদের নিয়মিত ইমাম ঈদ জামাতের ইমামতি করেন। নামাজের পরপরই কারাগারের ভেতর গরু কোরবানি করা হয়।

বন্দিদের জন্য দুপুরের মেন্যুতে রয়েছে সাদাভাত, রুই মাছ আর আলুর দম।

আর রাতের বিশেষ আয়োজনে তারা পাবেন পোলাও, কোরবানির গরুর মাংস (ক্ষেত্র বিশেষে খাসীর মাংস) ডিম, মিষ্টান্ন এবং পান-সুপারি। রাতের খাবারের পর তাদের জন্য মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয়েছে।

কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরী জানান, কারাগারের রেওয়াজ অনুযায়ী তাদের ঈদের খাবার দেয়া হয়েছে। প্রতিবারই ঈদে তাদের জন্য বিশেষ খাবারের এই আয়োজন করা হয়। তবে বন্দিরা পরিবারের সদস্যদের আনা বাইরের খাবার ভেতরে নেয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। পরিবারের পাঠানো খাবারগুলো যাচাই-বাছাই করে কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে বন্দিরা বাইরের খাবার খেতে পারবেন।

প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের দিনে কয়েদি ও হাজতিদের সঙ্গে দেখা করার বিশেষ সুযোগ দেয়া হয়েছে কারাগারগুলোতে। এছাড়াও প্রতিবারের মতো কারাগারের ভেতরে সকল বন্দি একে অপরের সঙ্গে দেখা করতে পারবে।

কারা সূত্র জানায়, বন্দিরা একে অপরের সঙ্গে দেখা করতে দিয়ে যাতে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি করা হবে।