কারা অধিদফতরের ‘গলার কাঁটা’ ৮১ বিদেশি বন্দি
দেশের বিভিন্ন কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা খাটা ৮১ বিদেশি বন্দির সাজার মেয়াদ শেষ হলেও স্বদেশে ফিরতে পারছেন না। তাদের মধ্যে ভারতের ৫৫ জন, মিয়ানমারের ২২ জন, পাকিস্তানের দুজন এবং নাইজেরিয়ার দুজন রয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারা অধিদফতরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা আলাপকালে বলেন, এসব বন্দির অধিকাংশই দরিদ্র পরিবারের। বাংলাদেশ থেকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে সরকারি, বেসরকারি ও মানবাধিকার সংস্থা কিংবা তাদের পরিবার-পরিজনদের যে ধরনের উদ্যোগ প্রয়োজন তা নেয়া হচ্ছে না। এ কারণে তাদের দেশে ফিরে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
কার্যকর কোনো উদ্যোগ না থাকায় কারা অধিদফতরকে তাদের খাওয়া-দাওয়াসহ ভরণ-পোষণের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এসব মুক্তিপ্রাপ্ত বিদেশি বন্দিরা এখন কারা অধিদফতরের ‘গলার কাঁটা’। তাদের নিয়ে কারা কর্মকর্তারা এক ধরনের অস্বস্তিতে রয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কারা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন কারাগারে ১৪টি দেশের মোট ৫৬৫ বন্দি রয়েছেন। সর্বোচ্চ সংখ্যক বন্দি মিয়ানমারের ৩৪৮ জন, ভারতের ১৫৪ জন ও পাকিস্তানের ২৯ জন। এছাড়া ক্যামেরুনের সাত, থাইল্যান্ডের সাত, মালয়েশিয়ার ছয়, নাইজেরিয়ার তিন, পেরুর তিন, তানজেনিয়ার তিন, নেপালের দুই, আলজেরিয়া এক, স্পেনের এক, জার্মানির এক এবং জাপানের এক নাগরিক রয়েছেন।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন মামলায় বিচারাধীন রয়েছেন এমন বন্দির সংখ্যা ৪৩২ জন। বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিদেশি বন্দির সংখ্যা ৫২ জন এবং মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দির সংখ্যা ৮১জন।
কারা অধিদফতরের এআইজি (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, সাজা শেষ হওয়া যে ৮১ বিদেশি বন্দি বিভিন্ন কারাগারে রয়েছেন তাদের দ্রুত নিজ দেশে ফিরিয়ে দিতে চাই। প্রথমে আমরা মিয়ানমারের বন্দিদের কক্সবাজার ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানোর চিন্তাভাবনা করছি।-জাগো নিউজের সৌজন্যে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন