সবার মতামত নিয়ে
উপজেলা-সিটি-পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীক থাকছে কিনা নেত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। রোহিঙ্গা ইস্যুতে যে সমস্যা সেটা আন্তর্জাতিকভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে। তাদের সঙ্গে যুদ্ধের কোনো কারণ নেই। মিয়ানমার নয় শুধু, কারো সঙ্গে আমরা যুদ্ধে জড়াতে চাই না।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এর আগে তিনি সংরক্ষিত আসনের মনোনয়ন ফরম বিক্রির বুথ পরিদর্শন করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা একে অন্যের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত না। তাদের ইন্টারনাল কনফ্লিক্ট এসে সীমান্তে গড়াচ্ছে। ছিটকে এসে পড়ছে আমাদের সীমান্তে। একজন নারী ও পুরুষ মারা গেছে। এসব ব্যাপারে আমাদের ফরেন মিনিস্ট্রি মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকেছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারের সংঘাতের সঙ্গে সেন্টমার্টিন বা বঙ্গোপসাগরের ভূরাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক আছে, সেটা আমি মনে করছি না। এই সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের ৫৪টির মতো এথনিক কমিউনিটি আছে। এই এথনিক কমিউনিটিগুলো ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গা দখলে নিয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের অভ্যন্তরীণ সংঘাত। আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ নেই।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, আগামী শনিবার আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের আমাদের দলের প্রার্থী বাছাই একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়। এখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ চলছে। সময় তিনদিন। কেউ চাইলে ফরমটি পূরণ করে সঙ্গে সঙ্গে জমা দিতে পারবেন। আমরা আশা করছি নির্বাচন কমিশন এর ভেতরেই দিন ঘোষণা করবে। তারপর আমরা আমাদের মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করব।
উপজেলা নির্বাচনে নৌকার প্রতীক থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সামনে উপজেলা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচন রয়েছে। পৌরসভা নির্বাচনও আছে। এসব নির্বাচনে প্রতীক থাকছে কি থাকছে না এই ব্যাপারে আমাদের ওয়ার্কিং কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের বর্ধিত সভায় যারা থাকবে তাদের মতামতও গ্রহণ করা হবে। এটা মৌলিক একটি সিদ্ধান্ত। তাই এই ব্যাপারে সবার মতামত নিয়ে আমাদের নেত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন