কার্গোতে নিষেধাজ্ঞা নয়, বাংলাদেশকে ‘হাইরিস্ক’ ঘোষণা ইইউ’র : মেনন
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের সঙ্গে পণ্যবাহী বিমান (কার্গো বিমান) চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। তবে ইইউ বাংলাদেশকে হাইরিস্ক কান্ট্রি হিসেবে ঘোষণা করেছে।’ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিমানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্র্যাকটিক্যালি আমাদের উপর কোনো কার্গো ব্যান (নিষেধাজ্ঞা) আরোপ করা হয়নি। এটা হয়েছে যে, বাংলাদেশ অ্যাজ এ হোল কান্ট্রি হিসেবে ইইউ হাইরিস্ক কান্ট্রি হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো চিঠিপত্র অথবা কোনো কমিউনিকেশন কখনই হয়নি।’
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘এটা কেবল এয়ার কার্গোর ক্ষেত্রে নয়, শিপিংয়ের ক্ষেত্রেও তাই। গতকাল সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যানের সাথে ইউ রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুনের মিটিং হয়েছে। সেখানে তারা বলেছেন, হাইরিস্ক কান্ট্রি হওয়ার ফলে তিনটা অলটারনেটিভ ব্যবস্থা করবে স্ক্যানিংয়ের ব্যাপারে।’
তিনি বলেন, ‘একটা হলো এক্সপ্লোসিভ ডিটেকটিভ সিস্টেম (ইডিএস) দ্বারা সকল কার্গো ও মেইল শতভাগ তল্লাশি করা, শতভাগ এক্সপ্লোসিভ টেস্ট ডিটেককশন (ইটিডি) অথবা শতভাগ এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন ডগ (ইডিডি)।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেটা জানাচ্ছি, আমরা অলরেডি ইডিএস মেশিন কিনেছি এবং এটা শিপমেন্টের অপেক্ষায় আছে। ইন্সপেকশনের জন্য ১৯ জুন আমাদের টিম যাচ্ছে। আশা করছি জুলাই বা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে এসে যাবে। ইডিএস এলে আমরা কার্গোতে দিয়ে দেব। স্ক্যানিংয়ের ক্ষেত্রে আমাদের অসুবিধা নেই।’
‘দ্বিতীয়ত, ইটিডিতে যেটা বলেছে, এটা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কারণ একেকটা ধরে ধরে করতে হয়। আমরা বলেছি, এটা করা সেভাবে সমীচীন হবে না।’
বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘তৃতীয়, শতভাগ স্ক্যানিং। আমাদের স্ক্যানিং মেশিন আছে। র্যাব ও ইপিবিএন কাজ করছে। ইপিবিএন ডগ স্কোয়াড কাজ করছে। এক’দুএক সপ্তাহের মধ্যে পরিপূর্ণ হবে। আমরা ডগ স্কোয়াড দিয়ে স্ক্যানিং করাচ্ছি।’
‘তাদের তিনটি শর্তের মধ্যে একটি শিগগির ফুলফিল করতে পারছি। আর একটা হয়তো আর দু’মাস সময় লাগবে’ যোগ করেন তিনি।
শর্ত পূরণ না করলে কী হবে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই মাল যখন যাবে তখন থার্ড কান্ট্রিতে ইডিএস ইন্সপেকশন হবে। এজন্য দশমিক ৪০ অ্যামাউন্ট চার্জ করবে।’
শুধু বাংলাদেশ নয় কুয়েত, সোমালিয়া, মিশর, ইয়েমেমের উপরও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে বলেও জানান মেনন।
তিনি বলেন, ‘বিমানের কার্গো পরিবহনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বিমানের উপর নয়, দেশের উপর আঘাত। এটা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। আমাদের পক্ষ থেকে যেটুকু করার দরকার তা করছি।’
‘কাতারের সাথে আমাদের ভাল সম্পর্ক’
কাতারে বিমান চলাচলে প্রতিবেশি কয়েকটি দেশ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে- এ বিষয়ে বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘কাতারের সাথে আমাদের ভাল সম্পর্ক। কাতার এবং বাংলাদেশ, এখানে চাপ যদি হয় তাদের হবে, আমাদের কাছে কোনো চাপের কিছু দেখছি না।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন