কাল থেকে চুয়াডাঙ্গায় বাস বন্ধের ঘোষণা

চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকসহ সকল অবৈধ যানবাহন চলচাল বন্ধের দাবি তুলেছে জেলা বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
আঞ্চলিক মহাসড়কে তিন চাকার অবৈধ যান বন্ধ না হলে আগামীকাল সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের সকল গণপরিবহন বন্ধ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

তবে এসব দাবি আদায় না হলে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে দূরপাল্লার সকল গণপরিবহনও বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাস মালিকরা।

দুপুরে সংগঠটির আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অত্র কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম। সেসময় তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গার সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে অবৈধ যান ইজিবাইক, থ্রি-হুইলার, মোটরচালিত রিক্সা ও পাখিভ্যান যেভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাতে বাস মালিকরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

বর্তমানে লোকাল গাড়ীর মালিকরা অত্যন্ত নাজুক অবস্থার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। প্রতিদিন গাড়ীর মালিকরা লোকসান গুনছে। গাড়ীর সরঞ্জাম টায়ার, টিউব, মবিল, যন্ত্রাংশের মূল্য বেশি। এমন অবস্থায় লোকাল গাড়ীগুলি বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া মালিকদের কোন উপায় থাকছে না।

মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ কয়েকবার ডিসি ও এসপি মহোদয়ের কাছে মৌখিক ও লিখিতভাবে আমাদের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করি। গত ৩ দিন মাইকিং করার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী চার উপজেলায় স্ব স্ব ইজিবাইকগুলি চলতে হবে এবং পৌরসভার ইজিবাইকগুলো পৌরসভার ভিতরে চলতে হবে।

সেসময় সংগঠনটি ৫ দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো- ১. বৈধ যানের রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয় না এরা মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করছে ওই একই সড়কে বৈধযান ও কম গতি এবং বেশি গতির যান মিশ্রিতভাবে চলাচল করার কারণে সড়কে দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে

২. ইঞ্জিন নাই বলে ওই সকল অবৈধযানের রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয় না। ওই সকল অবৈধযান সড়ক ও মহাসড়ক ব্যবহার করে কিন্তু তারা সরকারের কোনো ভ্যাট ট্যাক্স দেয় না। সড়ক ব্যবহার করতে হলে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।

৩. যে সকল কল-কারখানা প্রতি বছর যে পরিমাণ অবৈধ যানবাহন তৈরি করে এবং মেরামত করে ওই সকল কল-কারখানাগুলো সিলগালা করে বন্ধ করে দিতে হবে।

৪. অবৈধ যানবাহনগুলি রাস্তার যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রি ওঠা নামা করায় এবং ভাড়া আদায় করে। ফলে রাস্তায় কঠিন যানযট সৃষ্টি হয়। ট্রাফিক আইন কানুন সম্পর্কে এদের কোনো ধারণা নেই। মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করতে হলে তাদের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।

৫. দেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ঘাটতি হয় তার একটা বড় কারণ এই অবৈধ যানবাহন ও অটো, পাখিভ্যানের চার্জিং পয়েন্ট ও গ্যারেজ। চার্জিং পয়েন্ট ও গ্যারেজগুলো বন্ধ করা না গেলে দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব নয়।

এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হাসান ইমাম বকুল, সহ-সভাপতি আবু বক্কর আলী, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনউদ্দিন মুক্তা, যুগ্ম-সম্পাদক সোহেল রঞ্জু, কোষাধ্যক্ষ উসমান আলী, চুয়াডাঙ্গা বাস-মিনিবাস ও শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম এবং সড়ক সম্পাদক আমির খসরু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।