কাল থেকে শুরু হচ্ছে ইসির সংলাপ

যে সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হোক না কেন ইসির সঙ্গে সংলাপই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে আশা করছেন বর্তমান আর সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা। আর সব দলকে নির্বাচনে আনতে ইসি আয়োজিত সংলাপকেই নির্বাচনী নিশ্চয়তা আর নিরপেক্ষতা প্রমাণের একমাত্র ভরসা হিসেবে দেখছেন সাধারণ মানুষ।

সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের এই আশা এবং সাধারণ মানুষের এই ভরসা পূরণের লক্ষ্যে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সব ধরণের অনিশ্চয়তা দুর করতে নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজসহ অনেকের সঙ্গে সংলাপে বসছে ইসি।

এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ জুলাই বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে শুরু হচ্ছে ইসির সংলাপ যাত্রা। ইসি বলছে নির্বাচনী রোডম্যাপে কোন খানাখন্দ থাকলে সংলাপ তা পূরণ করে আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে। এছাড়া ইসির সংলাপ শুধু নাগরিক সমাজেই গুরুত্বপূর্ণ নয় সাধারণ মানুষের কাছেও সমান গুরুত্ব রাখছে।

এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে কোন রোডম্যাপ কিংবা সংলাপ আযোজন না হলেও ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রোডম্যাপ ঘোষণার পরই নির্বাচনী সংলাপের আয়োজন করেছিল তৎকালীন হুদা কমিশন।

প্রশাসন আর আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীকে জবাবদিহিতায় আনতে পারলে এবারের সংলাপও আগামী নির্বাচনের একমাত্র শক্তি হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার।

তাই আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু আর স্বচ্ছ করতে নির্বাচনী রোডম্যাপই জনগণের কাছে ইসির দায়বদ্ধতার দলিল বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।