কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে কাঁচা সড়ক পাকাকরণের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
 
            
                     
                        
       		কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের ২২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে শাহের বাবুর বাড়ি হয়ে বাকচান্দা বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছেন স্থানীয় এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এলাকাবাসীসহ শিশু শিক্ষার্থীরা সমবেত হন। বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে শিক্ষার্থীরা রাস্তা পাকাকরণের দাবিতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
স্থানীয় বাসিন্দা, মাওলানা আতাউল্লাহ এর পরিচালনায় মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য দেন জনদুর্ভোগ নিরসন কমিটির জেলা সমন্বয়ক মোঃ আলাল মিয়া ও সোহেল রানাসহ সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হবু, রাজিব মিয়া শাকিল, আব্দুল হাই, দুলাল মিয়া, ইদ্রিস আলী, মোঃ হাসিম উদ্দিন, আরাফাতুল, মোশাররফ প্রমুখ।
মানববন্ধনে স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক লোক অংশ নেন। হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
এসময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে সংস্কারের অভাবে এ রাস্তাটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। রাস্তার বেহাল দশার কারণে শুধু শিশুরা নয়, পুরো এলাকার মানুষই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে সামান্য বৃষ্টির দিনে শিক্ষার্থীদের স্কুলে পৌঁছাতে অনেক দেরি হচ্ছে।
অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইউনিয়নের কোন জনপ্রতিনিধি এই রাস্তার উন্নয়নের জন্য কোন উদ্যোগ নেননি। একাধিকবার সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও মিলছে না কোন প্রতিকার। তাই বাধ্য হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেছি।
স্থানীরা আরও জানান, হোসেনপুর উপজেলা গোবিন্দপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবিন্দপুর এলাকার এ রাস্তাটি কিশোরগঞ্জ জেলা ও হোসেনপুর উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহ এবং নান্দাইলে যোগাযোগের একমাত্র পথ। গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি যোগাযোগ একমাত্র পথ হলেও শতবছর ধরে তা অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় সৃষ্টি হয় বড় বড় গর্ত ও কাদা-পানির জলাবদ্ধতা।
এসময় শিক্ষার্থী নিরব বলেন, বৃষ্টি দিলে আমরা প্রতিদিন রাস্তা দিয়ে চলাচল করার সময় পা পিছলে পড়ে যাই। কেউ আমাদের দুর্ভোগের কথাটি চিন্তা করেনা। আমরা ছোট বলে কি কেউ আমাদের কথা শুনবে না?।
স্থানীয় বাসিন্দা হাসিম উদ্দিন জানান, রাস্তার জন্য এতদিন আমরা বলেছি। এবার আমাদের শিশুদের বলতে হচ্ছে। এটা আমাদের প্রশাসনের জন্য খুবই লজ্জার। রাস্তা সংস্কার না হলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যাবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী গালীব মোর্শীদ বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
 
 
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন





 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	