কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, ৪ মাস ধরে খোলা আকাশের নিচে বসবাস

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে জমি নিয়ে বিরোধে একটি পরিবারের চার মাস ধরে খোলা আকাশের নিচে বসবাসের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই পরিবারের লোকজন প্রতিকার চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মো. কাজল মিয়া ও তার স্ত্রী নাহার আক্তারের সাথে তাদের চাচাতো ভাই ও চাচা শ্বশুর-শাশুড়িদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এর জেরে তারা বেআইনিভাবে কাজল ও নাহার দম্পত্তির সম্পত্তি দখলের পয়তারা করছে।

কাজল মিয়া গত ১৫ নভেম্বর তার বসবাসের পুরাতন ঘর ভেঙে নতুন ঘর নির্মাণ করতে গেলে তার চাচা-চাচী ও চাচাত ভাই বোনেরা বে-আইনীভাবে বাঁধা প্রদান ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। এ ব্যাপারে কাজল ও তাহার স্ত্রী নাহার আক্তার এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যাক্তি বর্গদের জানানো হলে একাধিকবার দরবার সালিশ হয় কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন কোন দরবার সালিশ আমলে নেয় নি।

দরবার সালিশ পরবর্তীতে কাজল মিয়া তার বসত ভিটেতে পুনরায় ঘর নির্মাণ করতে গেলে তার বিরুদ্ধে হোসেনপুর থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ এর পরিপেক্ষিতে ঘটনা স্থলে হোসেনপুর থানা পুলিশ গেলে দুই পক্ষকে জমির কাগজ পত্র নিয়ে গত ৭ই ডিসেম্বর পুলিশ ও এলাকাবাসী নিয়ে দরবার সালিশ মাধ্যমে মীমাংসা হয়।

পরবর্তীতে ৮ই ডিসেম্বর সার্ভেয়ার দ্বারা দুই পক্ষের জমি মেপে বুঝিয়ে দিতে গেলে প্রতি পক্ষ আলী আকবর গংরা এই দরবার সালিশ মানে না বলে জানান। এসব বিষয়ে হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা প্রশাসন বরাবর অভিযোগ দায়ের করলেও কোনো সুরাহা মিলে নাই।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অসহায় পরিবারটি খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।

এ ব্যাপারে হোসেনপুর থানার ওসি মারুফ হোসেন জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পক্ষদ্বয় কোন ধরনের ফৌজদারি অপরাধ করলে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাহিদ ইভা জানান, প্রতিপক্ষের এটিও (উম্মে কুলসুম ফেরদৌসী পুষ্প) একাধিকবার ফোনে বিষয়টি আমাকে অবগত করলে আমি উনাদেরকে পরামর্শ দিয়েছি আপনারও উভয়পক্ষ সামনাসামনি বসে জমি সংক্রান্ত বিরোধ সমাধান করুন। এটিও সরকারি ট্রেনিংয়ে থাকায় সময় নিয়েছে, ট্রেনিং শেষ করে বিষয়টি তিনি সমাধান করবেন বলে জানান।