কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে পল্লী বিদ্যুতের ভেলকীবাজিতে অতিষ্ঠ গ্রাহক
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে পল্লী বিদ্যুতের ভেলকীবাজিতে গ্রাহক অতিষ্ঠ. আকাশে মেঘ দেখলেই গ্রাহকদের বিদ্যুতহীন থাকতে হয়। ২০১৮ সালে নিরিবিচ্ছন্ন বিদ্যুত সরবরাহের লক্ষ্যে সাবষ্টেশন স্থাপন করা হলেও বিতরণ ব্যবস্থা অপরিকল্পিত হওয়ায় এর সফল পাচ্ছেন না ৫৫ হাজার গ্রাহক। যে কারণে প্রতি মাসেই কারণে অকারণেই ৬-১২ ঘন্টা এমনকী অনেক সময় ২৪ ঘন্টা বিদ্যুত বিহীন থাকতে হয় উপজেলা বাসীকে।
এতে চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগে দিনাতিপাত করতে হয়। চলতি মে সাসেই ৩দিন বিতরণ ব্যবস্থায় ক্রটি হওয়ায় কারণে চলতি মাসের ৫ তারিখে থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত অনেক জায়গাতেই বিদ্যুত বিহীন থাকতে হয়েছে; এছাড়াও ২৫ মে ঘুর্ণিঝড় রেমালের কারণে পৌর এলাকাসহ ২৪ ঘন্টার ও অধিক সময়ে বিদ্যুত বিহীন থাকতে হয়, গত বুধবার দিনভর কম করে হলেও ২০-২৫ বার বিদ্যুতের আসা যাওয়ার পর রাত ২টার বিদ্যুত গিয়ে পর দিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় দেখা মেলে; এরকম অবস্থা প্রায়ই পড়তে হয় গ্রাহকদের।
এহেন পরিস্থিতিতে গ্রাহকরা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে সরকারের উন্নয়ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের বির্নিমাণ নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করে আসছেন।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জ যশোদল ট্রান্সমিশন কেন্দ্র থেকে এক সাথে ১২টি বিতরণ ব্যবস্থার মাধ্যমে সাব ষ্টেশনে বিদ্যুত সরবরাহ হয়ে থাকে। সেখানে ক্রুটি দেখা দিলে পুরো সিস্টেমই অচল হয়ে যায়, যে কারণে এর সাথে সম্পৃক্ত সকল এলাকাই বিদ্যুত বিহীন হয়ে পড়ে। হোসেনপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. মাসুদ রানা জানান, উপজেলার ৫৫ হাজার গ্রাহকের বিপরীতে ১৫-১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে।
সেখানে ৬-৭ মেগাওয়াট বরাদ্দ পাওয়া যায়, যে কারণে লোডশেডিং ছাড়া উপায় নেই;এছাড়াও প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার খোলা তারের ওভার হেড লাইন রয়েছে। ঝড়-বৃষ্টির কারণে বিতরণ ব্যবস্থায় ক্রুটি দেখা স্বাভাবিক। এ কারণে ক্রুটি দেখা দেওয়ার পর সেটি সনাক্ত করা অনেক সময় লেগে যায়। ক্রুটি চিহিৃত করার পর সেটি সারাইতে হলে প্রয়োজন নিরাপদ গ্রাউন্ডিং; যে কারণে সে কাজ করতে ৫-৬ ঘন্টা সময় লেগে যায়।
বিদ্যুত সংশ্লিষ্ট আরেক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,যশোদল গ্রীড থেকে একসাথে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুত সমিতির ১২টি সঞ্চালন লাইনের মধ্যে হোসেনপুরের সাথে তারাইল,কটিয়াদি ও নান্দাইল উপজেলার মুসল্লীর অংশ রয়েছে; যে কারণে তারাইল উপজেলা হোসেনপুর থেকে ৬০ কিলোমিটার দুরত্বে হলেও সেখানে ঝড়বৃষ্টির কারণে বিতরণ লাইনে ক্রুটি দেখা দিলে এর সাথে সংযুক্ত সকল লাইন বন্ধ রেখে ক্রুটি সনাক্ত করে লাইন চালু করতে হয়।
তারাইল উপজেলার জন্য আলাদা সাব ষ্টেশন চালুর সকল প্রক্রিয়া শেষ হলেও পিডিবির শার্ট ডাঊন না করায় তা চালু করতে পারছেন না। এটি চালু হলেও হোসেনপুর কিছুটা স্বস্তি পাবে। সেটির সকল প্রক্রিয়া শেষ হলে সাট ডাউনের কারণে চালু হচ্ছে না; এটি চালু করতে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ এর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন