কিশোরগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দিতে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকলে জেলা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা করেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে মিছিল করেছেন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় অন্তত ৫০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে সরকারি গুরুদয়াল কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর আগে সকালে ঘণ্টাব্যাপী এই পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়ার সময় কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা হামলা চালান। হামলায় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ধাওয়া করেন। ঘণ্টাব্যাপী চলে এই পাল্টাপাল্টি ধাওয়া । পরে শিক্ষার্থীরা আবারও সরকারি গুরুদয়াল কলেজ মাঠে আসলে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ধাওয়া করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সরে যান।

এদিকে মিছিল থেকে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুনে নানা লেখায় কোটা সংস্কারের দাবিতে ও ঢাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগানে হামলাকারীদের হুঁশিয়ার করেন। কোনো বাধাই আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখতে পারবে না বলে জানান।

কোটা আন্দোলনের কিশোরগঞ্জের সমন্বয়ক বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল করতে গেলে ছাত্রলীগ অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের ৫০ জনেরও অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। হামলার পর আত্মরক্ষার জন্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হাতে লাঠিসোঁটা তুলে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন বলেন, আজ সকালে খবর পাই গুরুদয়াল কলেজে কিছু কুচক্রী মহল আন্দোলনে নেমেছে। আন্দোলনের উদ্দেশ্য হচ্ছে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা। আমরা তাৎক্ষণিক কলেজ মাঠে আসি। আসার পর টুকটাক সংঘর্ষ হয়েছে ছাত্রলীগ ও রাজাকারদের সঙ্গে। আমরা প্রতিবাদ করে তাদের প্রতিহত করে দিয়েছি।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতের কোনো খবর আমরা পাইনি।