কিশোরগঞ্জে বখাটের উত্ত্যক্তের কারণে ছাত্রীর পড়ালেখা হুমকির মুখে
কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি॥ বখাটের প্রেম নিবেদন ও বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণ,এসিড নিক্ষেপ ও অপহরণসহ নানান হুমকিতে পড়ালেখার বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সোনাকুড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রীর। গত কয়েকদিন আগে কোচিং শেষে বাড়ী ফেরার পথে একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে বখাটে সুমন ও তার সহযোগীরা মেয়েটির পথ রোধ করে বিয়ে করার জন্য জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটির মা লাবলী খাতুন (৫৫) ভাই লাল মিয়া (১৬)বাধা দিতে গেলে বখাটেরা তাদের বেধরক মারপিট করে। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
লাবলী বেগম জানায়,২৫বছর আগে রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার মহুবার রহমানের সাথে (লাবলী) তার বিয়ে হয়। পেশাগত ভাবে তার স্বামী একজন সাইকেলের মেকার ছিলেন। শশুড় বাড়ীতে স্বামীর বসত ভিটা না থাকায় লাবলী তার বাবার বাড়ীতে অবস্থান করেন। ১০বছর আগে তার স্বামীর অকাল মৃত্যু হলে অনেক কষ্ট করে এক ছেলে ও এক মেয়েকে পড়ালেখা করান। এরমধ্যে মেয়েটি সোনাখুলি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। গত জেএসসি পরীক্ষায় মেয়েটি জিপিএ ৪.৯৫ লাভ করেন। এর আগে পিএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল। বখাটে সুমনের নানা হুমকির কারণে বর্তমানে মেয়েটি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। গত ৪ জুলাই কোচিং থেকে বাড়ী ফেরার পথে মিঠু হাজির গোডাউনের সামনে পৌছিলে সুমন ও তার সহযোগীরা মেয়েটির পথ রোধ করে জোরপূর্বক বিয়ে করার জন্য নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে আমাকে ও আমার ছেলেকে বেধরক মারপিট করে। এলাকাবাসী আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য আলতাব হোসেন বলেন, মেয়েটির বিষয় নিয়ে সুমনসহ তার পরিবারকে কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছিল? এরপরও সুমন মেয়েটির পিছু ছাড়েনি। রণচন্ডি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বিমান বলেন, ছেলেটি কারো বাধা নিষেধ মানছে না। আমি ওই ছেলেকে আটক করার জন্য ওসিকে সুপারিশ করেছি। দক্ষিণ সোণকুড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আঞ্জুমান আরা বলেন,নবম শ্রেণীর ৫জন মেধাবী ছাত্রীর মধ্যে সে একজন। মেয়েটি পড়ালেখা অব্যাহত থাকলে সে স্কুলসহ বাবা মায়ের মুখ উজ্জল করবে। মেয়েটি সুন্দরী হওয়ায় বখাটে সুমন তার পিছুৃ নিয়েছে। আমি মেয়েটির পরিবারকে বলেছি আমার তরফ থেকে আইনি বিষয়ে যে কোন সহযোগীতা করবো। বখাটে সুমনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রশীদ বলেন,অভিযোগ পেয়েছি যে কোন মূহুর্তে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন