কিশোরগঞ্জে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের ৭০ রাউন্ড গুলি

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর এলাকায় জানাযা শেষে গণসংযোগ করা বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশ ৭০ রাউন্ড রাবার গুলি ছুঁড়ে। এ ঘটনায় পুলিশসহ ১৫ জন আহত হন।

সোমবার কুলিয়ারচর বাজার থানা রোড এলাকায় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন তপু হোসেন, ফেরদৌস, রুবেল, ইব্রাহিম ও কাশেম।

আহতদের বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া কুলিয়ারচর থানার একজন এসআই, একজন এএস আই ও ৪ জন কনেস্টেবল এসময় আহত হয় বলে পুলিশ জানায়। ঘটনার সময় পুলিশ ৫ জনকে আটক করে।

আহতরা হলেন নাজির (২৪), কাজল (২৬), সাগর (১৮), কালাম (৪০), শামীম (১৯) ও আবদুল্লাহ গালিব (২০)। এই ঘটনায় পর রাতে পুলিশ মামলার প্রস্ততি নিচ্ছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সোমবার বিকালে কিশোরগঞ্জ -৬ ( ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের বিএনপি মনোনিত প্রার্থী শরীফুল আলম তার দলের প্রায় এক দেড় হাজার নেতাকর্মী নিয়ে পৌরসভা রোড থেকে একটি মিছিলসহ বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে থানার সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এসময় নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন হচ্ছে বলে মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ।

শরীফুল আলম এসময় পুলিশকে বলছিলেন তিনি নির্বাচনী গণসংযোগে বের হয়েছেন। পুলিশ তার কথা না মেনে মিছিলটি কুলিয়ারচর বাজারে প্রবেশ করতে নিষেধ করে। এনিয়ে বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের তর্কবিতর্ক শুরু হয়।

পুলিশ জানায়, পরিস্থিতির এক পর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেল লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ শুরু করে। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ৭০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়তে বাধ্য হয়। এসময় গুলি ছুঁড়লে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় নেতাকর্মীরা।

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৬ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটককৃতদের ছাড়া হয়নি।

ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি শরীফুল আলম বলেন, আসন্ন নির্বাচনে আমি বিএনপির প্রার্থী হয়ে প্রচারণা চালাতে পারছি না। (সোমবার) বিকালে এলাকায় একটি জানাজা শেষে কিছু নেতাকর্মী নিয়ে গণসংযোগ করতে বাজারে ঢুকার সময় থানার সামনে আমাদের ওপর পুলিশ আক্রমণ শুরু করে। আমরা বাধা দিলে পুলিশ গুলি ছুঁড়ে ১০ জনকে আহত করে এবং ৬ জন বিএনপির কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

কুলিয়ারচর থানার ওসি মো. নান্নু মোল্লা বলেন, বিএনপি প্রার্থী শরীফুল আলম নিজে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করে সরকারের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে মিছিল করছিল। তারা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে বিভিন্ন শ্লোগান দিলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে তারা পুলিশের ওপর আক্রমন শুরু করলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ৭০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়তে বাধ্য হয়।