কিশোরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ; ধর্ষক ও সহযোগী গ্রেফতার

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাদশ শ্রেণীর এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে ধরা পড়া ধর্ষক ও সহযোগীকে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে।

এঘটনায় পুলিশ ২ জনকে কারাগারে প্রেরণ করেছে। তারা হলো ধর্ষক কিশোরগঞ্জ সদর থানার বিন্নাটি ইউনিয়নের কোট্রাগড় গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে সুমন(২৮) ও ধর্ষকের সহযোগী টুটিয়ার চর গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে মো.শামীম (২২)। ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় মামলা দায়ের করলে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আসামিদ্বয়কে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

পুলিশ ও মামলার বিবরণে জানা যায়; হোসেনপুর মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণীর কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীর সাথে স্মার্ট ফোনের ফেইজবুকের মাধ্যমে ২ মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে বিবাহিত সুমন (২৮) এর সাথে। সুমন নিজকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দেয় ও বিবাহিত হওয়া সত্বেও তা গোপন রাখে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে; এভাবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গাজিপুর জেলার মেম্বার বাড়িতে এক ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তার সহযোগী শামীমের সহযোগীতায় একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয় ঐ শিক্ষার্থী।

ধর্ষণের পর বুধবার (১০ জুন) বিয়ের কথা বলে গাজিপুর থেকে সিএনজিতে করে বাড়িতে নিয়ে আসার কথা বলে ওই কলেজছাত্রীকে হোসেনপুর পৌর এলাকার দ্বীপেশ্বর গোলচত্তর এসে সিএনজি থেকে নেমে ধর্ষক সুমন ওই কলেজছাত্রীকে এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে ঠান্ডা আনার কথা বলে পালানোর চেষ্টা করে। আরেক জায়গায় পূর্ব থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষারত ধর্ষক সুমনের সহযোগী শামীমের গাড়িতে করে পালানোর উদ্দেশ্যে ছুটে চলে। পরে ভিকটিমের ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী মোটরসাইকেল নিয়ে পিছু ধাওয়া করে দু’জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদেরকে সেখান থেকে থানায় নিয়ে যায়।

হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিমের পিতা হোসেনপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে আসামীদ্বয়কে ধারা ৭/৯(১)/এর ২০০০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী, মামলায় (১১জুন) বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে কারগারে প্রেরণ করেন।