কিশোরগঞ্জে রমজান উপলক্ষে ১০ টাকা কেজিতে দুধ বিক্রি


কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে দুগ্ধ খামারি এরশাদ উদ্দিন টানা তিন রমজান ধরে তাঁর জেসি এগ্রো ফার্ম থেকে অস্বচ্ছল পরিবারগুলোর মাঝে ১০ টাকা লিটার দরে দুধ বিক্রি করছেন।
করিমগঞ্জের নিয়ামতপুর ইউনিয়নের রৌহা গ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জেসি এগ্রোফার্ম। এই খামারে প্রতিদিন গড়ে ১০০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। সম্পুর্ণ দুধ তিনি ১০ টাকা লিটার দরে বিক্রি করেন। সেই হিসাবে পুরো রমজান মাসে অন্তত তিন টন দুধ বিতরণ হবে। প্রতিদিন নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন দেখা যায় দুধ নেওয়ার জন্য। খামারের ব্যবস্থাপক হোসেন মোহাম্মদ রিয়াদ দুধ বিতরণ কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন।
প্রথমেই অন্য এলাকার কেউ আসলে তাদের জন্যও বাড়তি দুধের ব্যবস্থা রাখা হয়। বিভিন্ন মসজিদের ইমাম এবং মাদ্রাসার ছাত্রদের কাছেও দুধ পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন এরশাদ উদ্দিন। রমজানে দইয়ের চাহিদা বেড়ে যায়। সেই কারণে তখন দুধের লিটার হয়ে যায় ১০০ টাকা। অস্বচ্ছল পরিবারগুলো তখন দুধ কিনতে পারে না। সেই কারণেই এরশাদ উদ্দিন ১০ টাকা লিটার দরে দুধ বিতরণ চালু করেছেন বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয় আব্দুর রশিদ ও জুমেলা খাতুন জানিয়েছেন, এই খামারে ১০ টাকায় এক লিটার দুধ পাওয়া যায়। এটা বিনা টাকারই নামান্তর। তাঁরা এরশাদ উদ্দিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
এরশাদ উদ্দিনের এই কার্যক্রম সামাজিকভাবে একটি মানবিক কাজ হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এর স্বীকৃতিস্বরূপ গতবছর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেসি এগ্রো ফার্মকে ‘বেস্ট প্রেকটিস সম্মাননা’ স্মারক প্রদান করেছিল।
কেবল দুগ্ধ উৎপাদনই নয়, এই খামারে গরু মোটাতাজাকরণ কার্যক্রমও চালানো হয়। কোন রকম স্টেরয়েড প্রয়োগ ছাড়া সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়। এসব গরু কোরবানির ঈদের সময় ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার ক্রেতারা এসে নিয়ে যান।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন