কীভাবে কিরণের প্রেমে পড়েছিলেন আমির?

বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান সাধারণত নিজের ব্যক্তি জীবন নিয়ে সেভাবে কখনওই মুখ খোলেন না। তবে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি লাভ লাইফ নিয়ে খোলাখুলি কিছু কথা বলেছেন। তার দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী কিরণ রাওয়ের প্রেমে তিনি কীভাবে পড়েছেন, সেকথা নিজেই জানিয়েছেন আমির। শুধু কিরণ নয়, তার প্রথমপক্ষের স্ত্রী রিনা, তার সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়েও ওই সাক্ষাৎকারে অনেক কথা বলতে শোনা গেছে আমিরকে।

এবিপি আনন্দ পত্রিকার খবরে বলা হয়, কিরণের সঙ্গে আমিরের দেখা ‘লগন’ ছবির শুটিং সেটে। সেখানে কিরণ ছিলেন অন্যতম সহকারী পরিচালক। তবে সেসময় তাদের মধ্যে সেভাবে বন্ধুত্বও গড়ে ওঠেনি। রিনার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর আমিরের ফের দেখা হয় কিরণের সঙ্গে। ডিভোর্সের পর কোনও এক টালমাটাল মুহূর্তে ফোন করেন কিরণ। তখনই আবেগপ্রবণ হয়ে আমির কিরণের সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা কথা বলেন। ফোন রাখার পর আমিরের মনে হয়েছিল, ধন্যবাদ সৃষ্টিকর্তা, আমি তার সঙ্গে কথা বলতে পেরে ভীষণই খুশি।

সেই ফোনের পরই আমির-কিরণ প্রেম করা শুরু করেন, তারপর লিভ টুগেদারও করেন। ২০০৫ সালে ফের দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন আমির। প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের তিন বছর পর। আমিরের স্বীকারোক্তি, তার জীবনে একটি দিনও আজ তিনি কিরণকে ছাড়া ভাবতে পারেন না।

এরপর আমিরকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি মানসিকভাবে শক্তিশালী নারীদেরই পছন্দ করেন? নায়কের উত্তর, কিছুটা তাই। এ ব্যাপারে তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী রিনারও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন আমির। তার কথায়, তাদের প্রথম বিয়ে না টিকলেও, রিনার জন্যে তার যথেষ্ট শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা আছে মানুষ হিসেবে।

তবে পেশাদার জীবনে পারফেকশনিস্ট হওয়ার ফলে আমির যে নিজের পারিবারিক জীবনকে কিছুটা অবহেলা করেন বা করেছেন সেকথাও স্বীকার করেছেন। আমিরের কথায়, তিনি তার কাজের মধ্যে এতটাই ঢুকে যান, যে সে সময় পরিবার নিয়ে তিনি আর ভাবেনই না। এব্যাপারে কিরণ একবার তাকে বলেছিলেন, তুমি আসলে আমাদের ব্যাপারে আগ্রহীও নও। পরে নিজের ভুল বুঝতে পারেন আমির। এখন তিনি রাত আটটা অবধি কোনও সাক্ষাৎকার, মিটিং রাখেন না। আজাদ (ছেলে) ঘুমিয়ে যাওয়ার পর সমস্ত মিটিং, বৈঠক রাখেন। ছেলেকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়াই আমিরের লক্ষ্য, সঙ্গে জীবনসঙ্গীকেও।