কী কথা হতে পারে সংলাপে?

আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে সংলাপের জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে পাঠানো চিঠি পৌঁছে দেন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল। এই সংলাপের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক সংকটের উত্তরণ ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ড. কামাল।

সকাল পোনে আটটার দিকে আগামী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংলাপের আমন্ত্রণ নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় আসে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল। এতে নেতৃত্ব দেন দলের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।

আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, ওনারা আলোচনার জন্য যে সময় চেয়েছেন তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১লা নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী তাদের আমন্ত্রণ করেছেন। আমি সেই পত্রটি কামাল হোসেনের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।

একই সময় সেখানে আসেন ঐক্যফ্রন্টের আরেক নেতা মোস্তফা মহসিন মন্টু। পরে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ড. কামালের হাতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সংলাপের আমন্ত্রণপত্র দেন। যেখানে প্রধানমন্ত্রী ঐক্যফ্রন্টের ডাকে সাড়া দিয়ে পহেলা নভেম্বরে গণভবনে সংলাপের আহবান জানান।

ঐক্যফ্রন্ট নেতা মন্টু জানান, ঐক্যফ্রন্ট থেকে প্রায় ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে যাবেন। সংলাপে ৭ দফা ছাড়াও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে আমন্ত্রনণপত্র গ্রহণের পর ড. কামাল আশা প্রকাশ করে বলেন, এই সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট কেটে যাবে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা চিঠি দিয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি তা গ্রহণ করে সময় ঠিক করেছেন বৃহস্পতিবার। এই সংলাপের মাধ্যমে আসা করা যায় রাজনৈতিক সমস্যাগুলো থেকে আমরা উত্তরণ হতে পারবো।

এসময় তিনি আরো জানান, আজকে বিকেলে তাদের নিজস্ব একটি মিটিং আছে। যেখানে ঠিক হবে সংলাপে কে বা কারা যাবেন।

গত ২৮ অক্টোবর সংলাপে বসার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে চিঠি পাঠান জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন।