কুড়িগ্রামের উলিপুরে সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকার পরেও চোর চক্রকে না ধরার অভিযোগ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

কুড়িগ্রামের উলিপুরে সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকার পরেও অভিযুক্ত চোর চক্রকে ধরছে না তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই একরামুল হক। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ থাকার পরেও চোরকে না ধরায় ওই পুলিশ কর্মকর্তার ভূমিকা ভূক্তভোগী ব্যবসায়ীর কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। অবিলম্বে অভিযুক্ত চোরকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে উলিপুরবাসী।

জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর গভীর রাতে জেলার উলিপুর উপজেলার মিনাবাজারের মুদি দোকানের শাটার খুলে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও ৩৫ কার্টুন সিগারেটের প্যাকেট চুরি করে নিয়ে সংঘবদ্ধ চোর চক্র। পরদিন সিসি ফুটেজে পার্শ্ববর্তী এলাকার চিহ্নিত চোর হিসেবে পরিচিত রতন মিয়া (২২) নামের যুবকের পরিচয় সনাক্ত করেন বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।

এরই প্রেক্ষিতে ওইদিন উলিপুর থানায় অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী আহসানুল হাবীব দুলাল। অভিযোগের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তকে গ্রেফতারে বা জিজ্ঞাসাবাদে কোন প্রকার পদক্ষেপ নেননি এসআই একরামুল হক। মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করেও কেন অভিযুক্ত চোরকে ধরছে না ওই পুলিশ কর্মকর্তা এই প্রশ্ন ভূক্তভোগী ও ব্যবসায়ীদের।

ভূক্তভোগী মুদি ব্যবসায়ী আহসানুল হাবীব দুলাল বলেন, “আসামী বাজারে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও আসামী ধরছে না পুলিশ। যা রহস্যজনক। এতে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে। আমি দ্রুত অভিযুক্ত চোর চক্রের হোতাকে গ্রেফতারের দাবি জানাই।”

এ বিষয়য়ে এসআই একরামুল হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করেছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা কাউকে গ্রেফতার করতে পারি না। তারা মামলা করলে আমরা আসামী ধরবো।”

এ বিষয়ে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জিল্লুর রহমান জানান, “অভিযোগ পেয়েছি, তবে আমার ব্যস্ততার কারণে পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তবে চেষ্টা করছি অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের।