কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গাছে গাছে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় সোনালু ফুল
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গাছে গাছে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় সোনালু ফুল। গ্রীষ্মে রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরিতে সবুজ পাতার ফাঁকে হলুদ বর্ণের সোনালু ফুল প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলেছে অপরুপ সাজে। প্রকৃতিকে হলুদ রঙ্গে সাজিয়ে মৌমাছির গুঞ্জন আর পাখিদের কলকাকলিতে মাতোয়ারা করে রেখেছে চারপাশ।
এ ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম ক্যাসিয়া ফিসটুলা। পাঁচ পাপড়ি বিশিষ্ট দীর্ঘ মঞ্জরির এ ফুল ফুটতে থাকে মাঝ গ্রীষ্মে। এর প্রধান আকর্ষণ হলো ঝুলন্ত পুষ্পমঞ্জরি। গাছের ডাল পালায় থোকায় থোকায় অলংকারের মতো শোভা পায় সোনালু ফুল। এ বৃক্ষের ফল হয় লম্বাটে। ফলে স্থানীয়ভাবে এর ফল বানরলাঠি বা বাঁদরলাঠি নামে পরিচিত।
জানা যায়, অপরুপ শোভা দানকারী সোনালু ফুল বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে ফুটে। সাধারণত সোনালু গাছ জন্মায় প্রাকৃতিকভাবে। প্রকৃতির শোভাবর্ধনকারী ও ভেষজ গুণাবলি সম্পন্ন এই গাছ বেশির ভাগই বেড়ে ওঠে অযত্ন-অবহেলায়। এক সময় উপজেলার বন বাদারে, গ্রামীণ রাস্তার ধারে, পরিত্যক্ত জমিতে প্রায় সর্বত্রই সোনালু গাছের দেখা পাওয়া যেত। কালের পরিক্রমায় এ গাছ হারিয়ে যেতে বসেছে।বর্তমানে খুব কম সংখ্যক গাছের দেখা মেলে।চিরচেনা সোনালু ফুল গাছ এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। অসংখ্য ঔষুধি গুনে ভরপুর এ গাছটি সংরক্ষণ ও রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করছেন উপজেলার সচেতন মহল ও পরিবেশবাদি বিভিন্ন সংগঠন।
বলদিয়া কলেজের ইংরেজি প্রভাষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাইদুল ইসলাম মুকুল বলেন, সোনালু ফুল গাছ প্রকৃতিতে শোভা বর্ধণকারী এক অসাধারণ গাছ। গাছটি সংরক্ষণ করতে সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাপক প্রচারের প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুলতান সেলিম বলেন, গাছটি অযত্ন অবহেলায় বেড়ে ওঠে বিধায় কৃষক পর্যায়ে এর গুরুত্ব কম। তবে এ ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে এবং নতুন প্রজন্মের জন্য তা সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন