কুবি শিক্ষার্থীর উপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা
তারাবীর নামাজ আদায় করতে গিয়ে মসজিদের সামনে কিশোর গ্যাংয়ের আক্রমনের শিকার হয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোজাম্মেল হক। বুধবার (২৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (দায়িত্বপ্রাপ্ত) কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
ঐ শিক্ষার্থী জানান, সোমবার (২৭ মার্চ) রাত পৌঁনে ৯ টায় ক্যাম্পাস থেকে দূরে কুমিল্লা রাণীর বাজার মসজিদের বাহিরে এই আক্রমণের শিকার হয়েছেন। অভিযোগপত্রে তিনি ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচার এবং তাঁর পড়াশোনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানান।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী মোজাম্মেল হক জানান, শহরে টিউশন করে ফেরার পথে রাণীর বাজার মসজিদে তারাবীর সালাত আদায় করার জন্য যাই। কিছুক্ষণ পরই অপরিচিত কয়েকজন ছেলে এসে বলে মসজিদের বাহিরে আমার জন্য কিছু লোক অপেক্ষা করছে এই বলে আমাকে বাইরে ডেকে নিয়ে যায়।এরপরই শুরু হয় উপর্যুপরি মার।
তিনি আরও বলেন, ‘ বেধড়ক মারের সময় আমি আমার অপরাধ কি জিজ্ঞেস করলেও তারা তোয়াক্কা না করে আমাকে উল্টো কলিজা বের করে ফেলবো বলে মারতে থাকে। এক পর্যায়ে বিসিকের পরিত্যক্ত ভবনের সামনে নিয়ে আমাকে বলা হয় ‘ কিভাবে মরতে চাস বল ‘। আল্লাহর করুণায় ততক্ষণাৎ সেখানে কিছু পুলিশ চলে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে ফোন করি তবে কোন উত্তর পাইনি। পরবর্তীতে পুলিশ আমার পুরো ঘটনা শুনে অভিযান করে দুই ঘন্টা পর অপরাধীদের আটক করলে, ধর্মপুর পশ্চিম চৌমুহনীর নেতৃস্থানীয় লোকজন ঐ সকল ছেলেদের নিয়ে বিচার বসান। তখন তারা জানায় আমাকে নয় তারা অন্য একজনকে মারতে এসে সন্দেহজনক ভাবে আমাকে আক্রমণ করেছে। তখন তাদের পরিবার আমার কাছে সালিশে ক্ষমা চায়৷
অভিযোগ দাখিল বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরো বলেন, ‘আমি আজকে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছি। স্যার আমাকে আশ্বস্ত করেছে এবং কুমিল্লা প্রশাসনকেও আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তারাও ব্যবস্থা নিবে বলেছে পরবর্তী প্রয়োজনে মামলা করবো।’
এ বিষয়ে প্রক্টর (দায়িত্বপ্রাপ্ত) কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিষয়টা প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জেনেছি। পরবর্তী আমরা ঐ শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ করেছি। উক্ত বিষয়ে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি আজকে জরুরি মিটিং করেছি। সে আমাদের একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ভুক্তভোগীর প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। আমরা বিষয়টা খুব গুরুত্বের সাথে দেখছি।’
কান্দিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এস আই) সোহরাব হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ভুক্তভোগীর সাথে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন সেখানের স্থানীয় প্রতিনিধি কয়েকজনে বসে সামাজিকভাবে এটা সমাধান করার আলোচনা চলেছে। ভুক্তভোগী যদি আইনি পদক্ষেপে আগায় তবে আমরা অবশ্যই সাহায্য করবো। ভোক্তভোগীকে আমরা তার প্রত্যাশা অনুযায়ী আইনি সহায়তা করবো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন