কুমারিত্ব নষ্টকারী কে এই খুন তান?
বয়স ২৫। নাম খুন তান।
নিজেকে পরবর্তী বুদ্ধ দাবি করা এই যুবক ইতিমধ্যে শত শত কিশোরীর কুমারিত্ব নষ্ট করে আলোচনায় এসেছেন। তবে এখনও রয়ে গেছেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। রাজ্য সরকার তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু এই ভণ্ডের বিরুদ্ধে কোনো নারীর অভিযোগ না থাকায় সেটাও সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু কে এই খুন তান, যার কাছে নির্দ্বিধায় সতীর্থ বিলিয়ে দিচ্ছেন কিশোরীরা?
খুন তানের মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলের মন রাজ্যের থাটনের বাসিন্দা। স্থানীয় পাও সম্প্রদায়কে তিনি প্রভাবিত করেন যে, প্রভাবশালী ও সম্মানিত পা-ও সন্ন্যাসী আলানতায়া সাওদাউ আশিন সাককা’র পুনর্জন্ম তিনি।
এ কারণে আলানতায়া এলাকার পা-ও সম্প্রদায়ের অভিভাবকরা বিশ্বাস করেন, খুন তানের সঙ্গে তাদের মেয়েদের বিছানায় যাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়। আর এই সুযোগে খুন তান শত শত মেয়ের কুমারিত্ব নষ্ট করেছেন, যাদের অধিকাংশের বয়স ১৫ বছরের নিচে।
মন রাজ্য পার্লামেন্টের নারী ও শিশু অধিকার রক্ষা কমিটির চেয়ারপার্সন জানিয়েছেন, সরকারের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির তালিকায় খুন তানের নাম নেই। কারণ এখন পর্যন্ত কেউ তার বিরুদ্ধে মামলা করেনি।
নাম মাত্র বিয়ে করে খুন তানের কাছে কুমারিত্ব হারিয়ে স্থানীয় ইউ উইন নায়ান্ট নামের এক ব্যক্তির দুই মেয়ে। তিনি জানান, ”আমি আমার মেয়েদের অভিভাবক হিসেবে কোন মামলা করতে পারি না। আমার স্ত্রী ও মেয়েরা তাকে তাদের জীবন ও কুমারীত্ব দান করেছেন। এখন যদি তারা বলে, খুন তান তাদের স্পর্শও করেনি, তাই আমার কাছে অভিযোগ দায়ের করা কঠিন। ”
ইউ উইন নায়ান্ট আরও বলেন, নামমাত্র বিবাহের অনুষ্ঠান শেষে, খুন তান তার দুই কন্যাকে শান রাজ্যে নিয়ে প্রায় ১০ দিন রেখেছিল। যেখানে খুন তানের সঙ্গে নামমাত্র বিবাহ হয়েছে এমন আরও ৭ মেয়ে ছিল। তিনি দাবি করেন, খুন তান তাদের মেয়েকে বিয়ে করেনি বলে কিছু বাবা-মা মনঃক্ষুণ্ন পর্যন্ত হয়েছিল।
তবে যতই কিশোরীদের কুমারিত্ব নষ্ট করুক না কেন, অভিযোগ না থাকায় খুন তানকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। থাটন কেন্দ্রীয় পুলিশ স্টেশনের প্রধান জানিয়েছেন, গত দুই মাস কিংবা তারও আগে খুন তানের বিরুদ্ধে কেউ এ ধরনের কোনো অভিযোগ করেনি।
যদিও আড়াই মাস আগে ৫ জন ভিক্ষুকে গ্রেফতার করে মন রাজ্য সরকার। যারা আলানতায়া পাগোডা বোর্ডের সদস্য এবং খুন তানের সমর্থক। তবে ট্রাস্টি বোর্ডের বিরুদ্ধে মামলা হলেও খুন তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। যদিও তাদের গ্রেফতারের পর খুন তান পালিয়ে তার জন্মভূমি শান রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: ইরাওয়াদি
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন