কুমারীত্ব প্রমাণে ব্যর্থ হলে নববধূর কপালে জোটে জুতাপেটা!

নিজের কুমারীত্বের প্রমাণ দিতে হয় ভারতের মহারাষ্ট্রের কঞ্জরভাট নামে আদিবাসী সমাজের নববধূদের। আর নিজের কুমারীত্ব প্রমাণে ব্যর্থ হলে সেই নববধূর কপালে জোটে জুতাপেটা। এমনকি তাকে বের করে দেওয়া হয় শ্বশুরবাড়ি থেকে।

এই সমাজের সদ্য বিবাহিত নারীদের পরীক্ষা দিয়ে প্রমাণ করতে হয় যে বিয়ের দিন পর্যন্ত তাদের কৌমার্য বজায় আছে। নবদম্পতির বিছানায় পাতা সাদা চাদরে রক্তের দাগ লাগলেই পাওয়া যায় প্রমাণ। তবেই সমাজ মেনে নেয় যে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

মারাঠি যুবক বিবেক তামাইচিকার জানান, আমি তখন বেশ ছোট। বছর ১২ বোধহয় বয়স। একটা বিয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখেছিলাম যে নববধূকে অনেক লোকে মিলে জুতো পেটা করছে। বুঝতেই পারিনি কেন মারছে সবাই মিলে ওই নতুন বউকে। কিছুটা বড় হয়ে গোটা বিষয়টা পরিষ্কার হয় আমার কাছে। সদ্য বিবাহিতা ওই নারী আসলে কৌমার্যের পরীক্ষায় পাশ করতে পারেন নি।

আর যাতে কোনো নববধূকে বিয়ের পরেই কুমারীত্বের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে জুতা পেটা না খেতে হয়, তার ব্যবস্থা করতে গিয়ে কয়েক দিন আগে বিবেক আর তার কয়েকজন বন্ধু নিজেরাই মার খেয়ে এসেছেন। পুনে শহরে একটা বিয়েবাড়িতে বিবেক আর তার কয়েকজন বন্ধু এই পরীক্ষা বন্ধের স্বপক্ষে প্রচার চালাতে গিয়েছিলেন। সেখানেই কঞ্জরভাট সম্প্রদায়ের মানুষজন মারধর করেন। পুলিশ সেখান থেকে চল্লিশ জনকে গ্রেপ্তারও করেছে।

এই প্রথা বন্ধের উদ্দেশ্যে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছেন বিবেক। ‘স্টপ দ্য ভি রিচুয়াল’ নামে একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও হয়েছে, যেটির ৬০ জন সদস্যের অর্ধেকই নারী। ‘ভি রিচুয়াল’ অর্থ ভার্জিনিটি রিচুয়াল, বা কুমারীত্ব পরীক্ষা।