কুমিল্লায় মাত্র ৯০ কিমি খনন করলেই নাব্য ফিরবে গোমতীর

নদীর প্রায় ৯০ কিলোমিটার খনন করলেই ফিরবে নাব্য। মিলবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৭টি রাজ্যের সঙ্গে সরাসরি কানেকটিভিটি। ৭৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নাব্য ফেরার পাশাপাশি নদীপথে ভোজ্যতেল, সিমেন্টসহ বিভিন্ন পণ্যপরিবহন খরচ কমবে দ্বিগুণেরও বেশি- এমনটাই দাবি বিআইডব্লিউটিএর।গোমতী নদী। কুমিল্লার সদর, বুড়িচং, দেবিদ্বার, মুরাদনগর, তিতাস ও দাউদকান্দি হয়ে মিলছে মেঘনার সঙ্গে। ভারতের ত্রিপুরা থেকে উৎপত্তি হওয়া নদীটির ৮৯ দশমিক ৫ কিলোমিটারই বাংলাদেশে।

বর্তমানে দখল, ভরাট আর দূষণে ধুঁকতে থাকা গোমতী ভয়াবহ নাব্য সংকটে। সরু চ্যানেল দিয়ে চলতে পারে সর্বোচ্চ ৫০ টনের পণ্যবাহী নৌযান।এলাকাবাসী জানান, নদীতে পানি নদীর মতোই ছিল, আগে আমরা দেখেছি, ড্রেজিং করে আগের মতো বহতা নদী করা উচিত ছিল। কিন্তু ভরাট হয়ে যাওয়ায় অনেকে দখল করেছে নদীর জায়গা। নদীটাকে সবাই আয়ের উৎস করেছে।আরেকজন বলেন, প্রমত্তা গোমতী নদী আজকে কি হয়েছে, খালে পরিণত হয়েছে। এখনই যদি এটিকে বাঁচানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা না হয় তাহলে অচিরেই এটি খাল থেকে ড্রেনে পরিণত হবে।

নৌপ্রটোকলের আওতায় বর্তমানে নৌপথটিতে স্বল্প পরিসরে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি হলেও খনন হলে ত্রিপুরাসহ ৭ রাজ্যের সঙ্গে তৈরি হবে সরাসরি কানেক্টেটিভিটি।বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক বলেন, গোমতী নদীর মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সঙ্গে নৌপথের উন্নয়ন সাধন হবে। একটা মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছে ৪৯১টা নদী নিয়ে। এরমধ্যে ১৭৮টা নদীর খননকাজ বিআইডব্লিউটিএ এবং ৩১৩টা নদীর কাজ করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর মধ্যে বেশ কাজ আমরা করছি। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ৩০০ থেকে ৫০০ টনের জাহাজ সহজেই চলবে। কমবে ভোজ্যতেল, সিমেন্টসহ বিভিন্ন পণ্যপরিবহন খরচও। ৭৯৭ কোটি টাকা ব্যায়ে প্রকল্পটির ৮০ শতাংশ ব্যয় করবে বাংলাদেশ। বাকিটা করবে ভারত।

গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর গোমতী নদী দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক নৌচলাচল শুরু হয়।