কুয়াকাটায় রাতের আঁধারে ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ চুরি
পটুয়াখালীর মহিপুরে রাতের আঁধারে একটি মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে গলদা চিংড়ি নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ভুক্তভোগী চাষি শানু খানের কমপক্ষে দশ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে দাবী করেছেন তিনি।
শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাতে লতাচাপলী ইউপির পুনামাপাড়া গ্রামে এই নিধনের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানায়, প্রতিদিনের মত গতকাল রাতেও ঘেরে মাছের খাবার দিয়ে বাসায় ফেরেনে শানু। সকালে এসে দেখেন ঘেরের মাছ মরে ভেসে উঠেছে, এবং কিছু মাছ ছোটাছুটি করছে।
ভুক্তভোগীর ছেলে কোয়েল জানান, তিনি সকালে ঘেরের পাশে এসে দেখতে পান কিছু মাছ ভেসে উঠেছে।
কিছু মাছ ছোটাছুটি করছে। আর গলদা চিংড়ি ধরে নিয়ে গেছে। এরপর তিনি বাবাকে জানালে খবর পেয়ে তার বাবা এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শী খলিল শিকদার বলেন, এখানে এসে দেখতে পেলাম মাছ নিধনের বিষক্ত ট্যাবলেট দেওয়ার কারণে ঘেরের সব মাছ মরে গেছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।
কান্না জড়িত কন্ঠে শানু খান বলেন, গভীর রাতে কে আমার এতো বড় ক্ষতি করলো তা আমি জানি না। সকালে এসে দেখি আমার ঘেরের সব মাছ ভেসে উঠছে।
আমার ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।তার অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে প্রতিপক্ষ শত্রুরা রাতের আঁধারে এমন ঘৃণিত কাজটি করেছেন। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন,এ ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষিকে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করবো।
অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন