কুয়াশার চাদরে ঢাকা কুড়িগ্রাম

কুয়াশার চাদরে ঢাকা উত্তরের ভারত সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রাম। ঘন কুয়াশায় দিনের বেলা হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে দূরপাল্লার ও অভ্যন্তরীণ যানবাহন। প্রকট ঠান্ডার কারণে কষ্ট বেড়েছে শ্রমজীবি মানুষের। ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হতে পারছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। আজ সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

১০ ডিসেম্বর সকাল ১১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে গোটা জেলা। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবি ও ছিন্নমুল মানুষ। ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হতে পারছে শিশু ও বৃদ্ধরা।

সকাল ১১টা পর্যন্ত দুরপাল্লার এবং অভ্যন্তরীণ রুটের যানবাহনকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি ছিল ৩০-৪০।

রিকসা চালক আমিনুল হক বলেন,, ‘আজ বছরের প্রথম সর্বোচ্চ ঠান্ডা পড়েছে। কনকনে ঠান্ডার কারণে রিকসা চালাতে কষ্ট হচ্ছে।’

দিনমজুর আলম মিয়া বলেন, ‘যেভাবে শীত নামছে বাহে তাতে টেকা দুস্কর। গাত দেয়ার মত গরম কাপড় নাই। ছেড়া জাম্পার পরি বের হইছি কাজে যাওয়ার জন্য। শীত আসলেই হামার কস্ট বাড়ি যায়।’

চলতি বছরের শুরুতেই শীতের তীব্রতা বাড়ায় দুশ্চিন্তায় নিম্ন আয়ের মানুষ। দ্রুত সময়ের মধ্যে শীতবস্ত্রের দাবি জেলার ছিন্নমুল মানুষের।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘আজ সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।’

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘চলতি বছর শীতার্ত মানুষের জন্য জেলায় ৪৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শীতের প্রতিকূল পরিবেশে ছিন্নমুল মানুষকে রক্ষায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে।’