কুরবানি ঈদে জামালপুরে গো শিল্পের বিকাশে গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা

কৃষি স্বনির্ভর জেলা জামালপুর। জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলায় জেলা প্রানি সম্পদ বিভাগের সহায়তা গো শিল্পের বিকাশ লাভ করেছে। কুরবানি ঈদকে ঘিরে খামারিরা অনেক গরু প্রস্তুত করেছে। যার বাজার মূল্য হবে কোটি টাকা। আর এই গো শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা হলেও প্রানি সম্পদের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। প্রানি সম্পদ বিভাগের সহায়তায় কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের মাধ্যমে লক্ষীরচর, রায়েরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, কাজিয়ারচর, রানাগাছা, শ্রীপুর, বাঁশচড়া সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় ৩শতাধিক খামারে প্রায় ২থেকে ৩হাজার গরু স্বাস্থ্য বিধি মেনে গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছে। সরেজমিনে এ খামার গুলো পরিদর্শন কালে বেশ কয়েকজন খামারির সাথে কথা হয় তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, গরু মোটাতাজা করন প্রক্রিয়ায় প্রানি সম্পদ বিভাগ সহায়তা করছে। তারা আরো বলেন, কোন প্রকার রাসায়নিক সার খাওয়ানো হয়নি। নেপিয়ার ঘাঁসের মাধ্যমে গরু মোটতাজা করা হয়েছে। প্রতিটি গরুর মূল্য হবে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা। খামারি রাসেল(৪০) জানান, তার খামারে ৫০টি ষাড় গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

এ দিকে মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলাধীন মহাদান,ভাটারা, কমারাবাদ, পোগলদিঘা, মেষ্টা, বালিজুড়ি, ডাংধরা, পাররামপুর ও হাতিবান্দা এলাকায় ৫ থেকে ৬শ খামারে ১০ থেকে ১২ হাজার গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তাছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে অসংখ্য গরু বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে। সরেজমিনে এ খামার গুলো দেখতে গিয়ে কথা হয় খামারি কামাল(৪৮) সাইফুল (৫০) এর সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে জানান প্রতিটি ষাড় গরু তৈরি করতে ৫০হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন পর্যন্ত বড় গরু গুলোর দাম ৪থেকে ৫লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। দিন যতই ঘনিয়ে আসবে দাম আরো বাড়বে। খামারি কামাল আরো বলেন কৃষক বান্ধব আওয়ামীলীগ সরকার গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা করার জন্য কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্প হাতে নিয়েছিলো। এ প্রকল্পের মধ্যে ছিলো গো শিল্প। গো শিল্প বিকাশে অসংখ্য বেকারের কর্মসংস্থান হয়েছে। আর গ্রামীন অর্থনীতি গতিশীল হয়ে পড়েছে।