কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে শেষ দিনে কোরবানির হাটে উপচে পড়া ভীড়

রাত পোহালেই কুরবানির ঈদ। আসন্ন ঈদুল আজহাকে ঘিরে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে শেষ দিনে কুরবানির হাটে ক্রেতা -বিক্রেতার উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতা -বিক্রেতার সরব উপস্থিতিতে জমে উঠেছে কুরবানির গরুর শেষ হাট। উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ বলছে কুরবানির পশুর কোন সংকট নেই। চাহিদা মিটিয়ে বরং উদ্বৃত্ত থাকবে।

শনিবার (৯ জুলাই ) সকালে উপজেলার একমাত্র পশুরহাট ভূরুঙ্গামারী হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে পশু নিয়ে হাটে আসতে শুরু করেছেন পাইকারি বিক্রেতা, খামারি ও গবাদিপশু পালনকারি প্রান্তিক কৃষকগণ। দেশি গরুতে বাজার ভরেগেছে। বিক্রেতারা বড় গরুর দাম হাঁকছেন ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া ৯০ থেকে ১০০ কেজি ওজনের গরুর দাম ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে । কুরবানির সম্মেলিত ও একক ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। প্রখর রোদের মধ্যেই হাটে পশু বেচাকেনা হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে জমে উঠেছে কুরবানির হাট।
একাধিক খামারি ও প্রান্তিক কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, গোখাদ‍্যের দাম তুলনামূলক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পরেও কোরবানির পশুর দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আছে। এবার মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদ বেশি।
জহির উদ্দিন নামের এক গরু বিক্রেতা জানান, তার প্রায় ১০০ কেজি ওজনের একটি ষাঁড়(গরু) হাটে নিয়ে এসে ৬৬ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। গরুর দামে তিনি খুশি।
হযরত আলী, মাইদুল মুকুল, ও মনিরুজ্জামানসহ বেশ কিছু ক্রেতা জানান, তাদের বাসায় গরু রাখার জায়গা না থাকায় তারা ঈদের আগের দিন হাটে এসেছেন গরু কিনতে। গরুর দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, এবার উপজেলায় কোরবানির পশুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২১ হাজার ৪৩০টি। তবে খামারি ও প্রান্তিক কৃষক মিলে প্রায় ২১ হাজার ৬০৩টি গবাদিপশু প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে ১৬০ টি বলদ,৬ হাজার ৯২৭টি ষাঁড়, ৩ হাজার ১৭০টি গাভী, ৮ হাজার ৭৫১টি ছাগল ও ২ হাজার ৫৯৫টি ভেড়া রয়েছে। এতে চাহিদা মিটিয়ে ১৭৩টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোছাঃ শামীমা আক্তার বলেন, কুরবানির পশুর কোন সংকট নেই। উপজেলায় ২১হাজার ৬০৩টি পশু মজুত রয়েছে। কুরবানীর পশুর হাটে আমাদের মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। তারা গবাদি পশু ক্রেতা- বিক্রেতাদের নানা পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করছেন।