কুড়িগ্রামের রৌমারীতে আলোচিত শালু হত্যায় পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে আলোচিত শালু হত্যার জট খুলতে পেরেছে পুলিশ। দীর্ঘ তিন মাস পর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত জাকির মেম্বার, খয়বর আলী ও জিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রেস ব্রিফিং-এর মাধ্যমে ঘটনার নেপথ্যের বর্ণনা ও আসামীদের সাংবাদিকদের সামনে নিয়ে আসা হয়।
পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, শালু মিয়া ছিলেন জাকির মেম্বারের মাদক পরিবহনকারী। শালু ৫ থেকে ৬ হাজার পিচ ইয়াবা ক্যারিয়ার করার সময় সেগুলো আত্মসাতের চেষ্টা চালায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাকির মেম্বার তার সহযোগি খয়বর আলী ও জিয়াকে নিয়ে হত্যা করে বস্তায় ভরে মাটিচাপা দেয়।
গত ২৭ ফেব্রæয়ারি রৌমারীর দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাউনিয়ার চরের মৃত: চান মিয়ার পূত্র শালু নিখোঁজ হয়। অভিযোগ উঠেছিল একই এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের জাকির মেম্বার শালুকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে তার হাদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার স্ত্রী রেজেকা বেগম বাদী হয়ে ২৯ এপ্রিল জাকির মেম্বার, খয়বর আলী ও জিয়ার নামে এজাহার দায়ের করে। পরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় জাকির মেম্বারকে ঢাকার শাহবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়। পরে তার দেয়া তথ্য ধরে সহযোগি খয়বর আলীকে ঢাকার গাজীপুর কোনাবাড়ী থেকে এবং জিয়াকে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শালুকে জিঞ্জিরাম নদীর পূর্ব পাড়ে জাকির মেম্বারের পতিত জমি থেকে মাটি চাপা অবস্থায় বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলি শ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, এডিশনাল এসপি রুহুল আমিন, এডিশনাল এসপি ও সদর সার্কেল জিয়াউর রহমান, এডিশনাল এসপি ও উলিপুর সার্কেল মাইদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজু মোস্তাফিজ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক ফারুকসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন