কুড়িগ্রামের শিশু প্রত্যাশার আঁকা ছবি এ বছর প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা কার্ডে নির্বাচিত।
কুড়িগ্রামের বিশেষ বদ্ধিসম্পন্ন অটিস্টিক শিশু প্রত্যাশার আঁকা ছবি এ বছর প্রধানমন্ত্রীর নতুন বছর ও বড়দিনের শুভেচ্ছা কার্ডে ব্যবহারের জন্য মনোনিত হয়েছে।
সারা বাংলাদেশে ৪ জনের মধ্যে ১জন নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল হতে ১ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছে প্রত্যাশা। ছোটবেলা থেকেই কানে কম শুনতে পাওয়া ও কথা বলতে না পারা প্রত্যাশার এ সফলতায় আনন্দিত তার পরিবার সহ গোটা জেলাবাসী। বিশেষশিশুরা প্রধানমন্ত্রীর এ রকম নির্দেশনা ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ সূধীজনদের।
কুড়িগ্রামের মোল্লাপাড়ার গোবিন্দ ব্যানার্জির ছোট মেয়ে প্রত্যাশা ব্যানার্জীর আাঁকা ছবি এবছর প্রধানমন্ত্রীর নতুন বছর ও বড় দিনের কার্ডে স্থান পেয়েছে।ছবি প্রতিযোগিতায় সারা বাংলাদেশের ৪ জন বিশেষশিশু পেয়েছে এ সন্মান।প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে অনুদান দেয়া হয়েছে প্রত্যাশাকে ১ লক্ষ টাকা।
প্রত্যাশাকে দেখলে আর দশটা বাচ্চার মত স্বাভাবিক মনে হলেও ও জন্মের পর থেকেই বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধি। মা আর বোনের সহযোগিতায় বন্ধুর পথে এগিয়ে যাওয়া।প্রত্যাশার বড় বোন মিথুলা ব্যানার্জি জানায় প্রত্যাশা অনেককিছু বুঝতে না পারলেও সে চেষ্টা করে। নিজের কষ্টগুলোকে চিত্রকল্পে সাঁজিয়ে রঙ্গিন করে তোলে বাস্তবে।কানে না শুনতে পেলেও কিংবা মনের অভিব্যাক্তি শব্দে রুপ দিতে না পারলেও ওর অভিব্যাক্তি প্রত্যাশা চিত্রশিল্পে প্রকাশ ঘটিয়েছে।
প্রত্যাশার মা কুন্তলা রায় জানান,প্রত্যাশা ছোটবেলা থেকেই কানে কম শোনে,ও কথা স্পষ্টভাবে বলতে পারেনা। তারপরও সে কম্পিউটারে ইউটিউব দেখে অকে কিছু শিখেছে। ওকে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছে প্রত্যাশা।চিত্রশিল্প ও হস্তশিল্পে পারদর্শী ।প্রত্যাশা এখন ৮ম শ্রেণীতে পড়ছে। সে এই পুরস্কার পেয়ে দারুন খুশি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্ডে তার ছবি ব্যবহারের জন্য মনোনীত হওয়া সহ অনুদানের অর্থ প্রাপ্তিতে প্রত্যাশার প্রতিভার প্রস্ফুটন ঘটেছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তার পিতা গোবিন্দ বিশ্বাস।এ প্রাপ্তি অনেক বড়,অনেক সন্মানের।বিশেষশিশুর ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে তিনি চিন্তা করেন না কেননা দ্বায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামীতে আরো সফলতা পাক এ প্রত্যাশা প্রত্যাশার শিক্ষক সহিদুর রহমানের। তিনি আরো বলেন প্রত্যাশার মত বিশেষ শিশুদের পরিবার থেকে বিশেষ যতœ নিলে তারা অন্য সব শিশুদের মত এগিয়ে যেতে পারে।
প্রত্যাশার এ সফলতায় আনন্দিত হয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জাফর আলী। তিনি নিজ হাতে প্রত্যাশাকে অভিনন্দিত করেছেন।
বিশেষ শিশুদের আঁকা ছবি প্রধানমন্ত্রী বিশেষ দিনগুলোতে ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের সুপ্ত প্রতিভাকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে সূধীজন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন