কুড়িগ্রামে আরও ১০৭০ গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে ঘর ও জমি
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2021/06/Kurigram-Land-Home-Distribution-news-Photo19.06.2021.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভুমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ২য় পর্যায়ের জমি ও গৃহ প্রদান করা হবে রবিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরের চাবি তুলে দেবেন। সারাদেশে ২য় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবার জমি ও ঘর ও দলিল পাবে।
নদীভাঙ্গন কবলিত ও দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করা কুড়িগ্রামের ১০৭০ পরিবার পাবে প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম সদরে ১০০ টি পরিবার,নাগেশ্বরীতে ১০টি,ভুরুঙ্গামারীতে ৫১,ফুলবাড়ী ১০৫,রাজারহাট ৮০,উলিপুর ১৫০,চিলমারী ২৬০ রৌমারী ১২২,চর রাজিবপুর ৭৩ পরিবার রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, আগামী ২০ জুন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে জেলার ১ হাজার ৭০টি পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করবেন।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, ২য় পর্যায়ের প্রতিটি ঘর নির্মাণে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। জেলার ৯ উপজেলায় ১ হাজার ৭০টি পরিবার ২ শতক জমিসহ এসব সেমিপাকা ঘর পাবেন।
কুড়িগ্রামের হতদরিদ্র মানুষদের সরকারের এ উপহার দেবার জন্য কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন ৩০. ৬৭ একর খাসজমি উদ্ধার করে সরকারের মহতী এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন জানান নদীভাঙ্গন কবলিতমানুষ, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা,ভিক্ষুক যাদের জমি ও ঘর নেই তাদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরী করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার আরাজি ভোগডাঙ্গা গ্রামের উত্তর নওয়াবশ গ্রামে ধরলা আশ্র্রয়ণ ২ প্রকল্প ঘুরে দেখা যায় অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে এই আশ্রয়ন প্রকল্পটি গড়ে উঠেছে। এখানে বাড়ী রয়েছে ৮৯টি।এখানে মোট জমির পরিমাণ ৮ দশমিক ২৬ একর। এখানকার বাসিন্দারা ২টি পুকুরে মাছ চাষ করে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারবেন। এখানে ১.০৮ একরের একটি মাঠ রয়েছে।কুড়িগ্রাম শহর হতে ধরলা আশ্রয়ন প্রকল্পের দুরত্ব মাত্র ৪.৫০ কি.মি.।
এছাড়া প্রত্যেক বাড়ীতে বিদ্যুৎ বিভাগ বিদ্যুতের সংযোগ স্থাপন করে দিয়েছে।তাছাড়া প্রতি ১০ ঘরের জন্য ১টি করে মোট ১৪ টি টিউবওয়েল স্থাপন করে দিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কুড়িগ্রাম।
এখানে ঘর পাওয়া রহিজন বেওয়া জানান,৬ বার ধরলা তার বাড়ী কেড়ে নিয়েছে। মানুষের জায়গায় ঘর তুলে ছিলেন এখন এই শেষ বয়সে ঘড় আর মাটি পাওয়ায় তিনি আপ্লুত। করিমুল্লা, ৭০ ছই ুঁছুই ভিটে মাটি সহায় সম্বলহীন, ভিক্ষে করে জীবন চালান,তিনি ঘর আর জমি পাওয়ায় আনন্দিত।আরাজি ভোগডাঙ্গার মফিজুল ঘর পাওয়ায় বলে এ্যালা আর বৃষ্টির পানির বৌ ছাওয়া নিয়া ভেজা লাইগবার নয়।
তবে ঘর বরাদ্দের বিষয়ে কিছু ত্রæটি বিচ্যুতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে। তাদের মতে জমি ও ঘর বরাদ্দে আরো বিচার বিশ্লেষন ও তদন্ত করা প্রয়োজন।কেননা যারা জমি ও ঘর বরাদ্দ তালিকায় নাম উঠিয়েছেন এদের মধ্যে অনেকের স্বচ্ছ¡লতা রয়েছে।
পাশাপাশি দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করা কুড়িগ্রাম জেলার হতদরিদ্র মানুষের জন্য আরো বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন