কুড়িগ্রামে ইয়াবাসহ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
দীর্ঘদিন থেকে ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের (৫০) বিরুদ্ধে।
দলীয় পদ এবং ইউপি সদস্য পদের আড়ালে সীমান্ত পথে মাদক পাচার সহ কেনা বেচা তার মূল ব্যবসা। শুক্রবার দুপুরে রৌমারী থেকে নৌকা রিজার্ভ করে ইয়াবা নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে কুড়িগ্রাম আসছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি)’র কাছে সে খবর আগে থেকে ছিল। ফলে ব্রহ্মপুত্র পাড়ি দিয়ে ঘাটে পৌঁছার আগেই ডিবি পুলিশের জালে ধরা পড়েন জাকির। সাথে উদ্ধার হয় ১৯২ পিচ ইয়াবা।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরের হাট ঘাট থেকে ওই ইউপি সদস্যকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। ডিবি পুলিশের অফিসার ইন চার্জ (ওসি) আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জাকির হোসেন রৌমারীর দাঁতভাঙা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি। তার বাড়ি একই ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা চর কাউয়ারচর (বাঘেরহাট) গ্রামে। তার বিরুদ্ধে মাদক চোরাকারবারে তারই সহযোগীকে গুম সহ হত্যার অভিযোগে মামলা রয়েছে। এছাড়াও সীমান্ত পথে মাদক চোরাচালানসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাদক সরবরাহের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ভারতের আসাম হয়ে রৌমারীর ধর্মপুর সীমান্ত পথে মাদক চোরাচালানের যে নতুন রুট, তার অন্যতম প্রধান মাদক কারবারি ইউপি সদস্য জাকির হোসেন। দাঁতভাঙা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, ‘ জাকির দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার ব্যবসা করে। তার মাদক ব্যবসার কথা এলাকায় অনেকেই জানে। তার বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালান ও হত্যার অভিযোগে মামলাও রয়েছে।
এদিকে মাদক চোরাকারবারের অভিযোগ থাকায় জাকির হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রৌমারী উপজেলা দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কাগজ পাঠিয়েছি। তিনি বর্তমানে দলের কেউ নন।’ডিবি পুলিশের ওসি আশিকুর রহমান বলেন, ‘গ্রেফতার জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে শনিবার আদালতে পাঠানো হবে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন