কুড়িগ্রাম পৌরসভায় রাস্তার বেহাল দশা, বাঁশের সাকো এখনো মূল ভরসা

উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে একটি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। সেখানে কুড়িগ্রাম পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে বর্তমানে রাস্তাঘাট এর যে দুরাবস্থা হয়েছে তা মান্ধাতা আমলকেও হার মানিয়েছে।বন্যায় রাস্তাঘাট ভেঙ্গে বাঁশের সাঁকো গড়ে উঠলেও এখন তা চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় এলাকাবাসী চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। দীর্ঘদিনেও এ অবস্থার পরিত্রাণ হয়নি, রাস্তাঘাটের হয়নি কোন সংস্কার। পৌরসভার সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত এ ওয়ার্ডটির জরাজীর্ন রাস্তাঘাটের সমস্যার কারনে প্রায় সকল ক্ষেত্রেই পিছিয়ে পড়েছে মানুষজন।

দীর্ঘ দিনেও সংস্কার না হওয়ায় মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি

১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত কুড়িগ্রাম পৌরসভা ১ম শ্রেনীর পেীরসভার মর্যাদা লাভ করেছে দেড় যুগ আগে। ৬নং ওয়ার্ডে গত ২০ বছরে উন্নয়ন হয়নি বললেই চলে। ৬ হাজার ভোটার সম্বলিত ১২ হাজার বাসিন্দার এই ওয়ার্ডটির পৌরবাসির চলাচলের জন্য একমাত্র পাকা রাস্তাটির এখন বেহাল দশা। গত দুবছর আগে বন্যায় মূল পথের কয়েক জায়গায় ভাঙ্গনে বড় বড় খালের সৃষ্টি হওয়ায় এখন জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকোই যাতায়াতের মূল ভরসা। এলাকাবাসী তাদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখার জন্য নিজ খরচে তিনটি সাকো তৈরী করলেও সেগুলোও এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এলাকার পল্লী চিকিৎসক আব্দুর রহমান জানান, ১একটা রোগি অসুস্থ হলে তাকে সদর হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই। এলাকার লোকজন মটর সাইকেল কিংবা একটা রিক্সা নিয়ে চলতে পারছেনা।’

আতর আলী জানান, ‘তাদের উৎপাদিক পটল,কলা সহ কৃষিপণ্যের দাম পাচ্ছেননা । আগে পাইকাররা জমিতে ফসল কিনতে পারলেও এখন রাস্তা ভাঙ্গার কারণে ফসল নিয়ে যেমন যাওয়া যায়না তেমনি পাইকাররাও আসতে পারেনা।’

পৌরসভার ১কিঃমিঃ-এর মধ্যে এই ওয়ার্ডটির অবস্থান হলেও গত ৩ বছরেও রাস্তাঘাটের সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে বিচ্ছিন্ন এলাকায় পরিণত হওয়ায় পথে রয়েছে বলে এলাকাবাসীর আক্ষেপ।

এই রাস্তাটির সংস্কার না হওয়ায় এখানকার লোকজন যাতায়াতে যেমন চরম অসুবিধায় পড়ছেন তেমনি পিছিয়ে পড়েছেন কৃষি ও ব্যবসা বাণিজ্যে।

সাদেক আলী জানান, ‘সামনে বর্ষা আসছে তখন যাতায়াত আরো কষ্টকর হয়ে যাবে।’

মোরশেদ জানান, ‘দীর্ঘদিনেও ভাঙ্গন রাস্তায় যেমন সংস্কার হয়নি তেমনি সরকারীভাবে পড়েনি একডালি মাটিও। এ পথে দিনে চলাচল করা গলেও রাতে একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ে।’

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পেীরসভার মেয়র মো. কাজিউল ইসলাম জানান, ‘আগামী দু একমাসের মধ্যে সরকারী অর্থ বরাদ্দ পেলে সড়কগুলো মেরামতের করা সম্ভব হবে। শুধু এখানকার নয় অনেকগুলো প্রকল্প পাঠানো হয়েছে।’

এলাকাবাসী চান শুধু আশ্বাস নয়, কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে পৌরসভার এই ওয়ার্ডের সড়কটি সংস্কার করে যোগাযোগ সমস্যার সমাধান করে পৌরবাসির কষ্ট লাঘব হোক।