কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় মাদক বিক্রেতার সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিতে পুলিশসহ আহত তিন

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় মাদক বিক্রেতাদের হাতে পুলিশসহ তিন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। এ সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পুলিশের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় মাদক বিক্রেতারা। তবে ঘণ্টা খানেকের মধ্যে বিএসএফের সহযোগিতায় মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, সেটি এখনও তাদের হাতে আসেনি।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের নাখারজান সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় গোলাম রব্বানী ও আব্দুস ছালাম জানান, সন্ধ্যায় শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের জহুরটল এলাকার সুকু আলীর মাদক সেবন করেত ৯৪১ নম্বর মেইল পিলারের তিন নম্বর সাব পিলারে যায়।

এ সময় সে কাটাতারের বাহিরে ভারতের দিনহাটা থানার শেইটি টু-শুকারের কুটি গ্রামে মাদক বিক্রিতা সহিদুল ইসলাম (৪৫) ও রশিদুল ইসলামের (৪০) কাছে যায়। তারা নীলকুমার নদীর তীরে নোম্যান্স ল্যান্ডে ছিল। মাদকের টাকা দেয়ার সময় তাদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি ও ধস্তাধস্তির হয়।

এমন সময় ফুলবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক পলাশসহ কনস্টেবল সুকুমার সাদা পোশাকে ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা মারামারি দেখে এগিয়ে আসেন। এসময় দুই পুলিশসহ আলী হোসেন (৪৭) ও সহিদুল ইসলাম (৩৮) ও মাদক সেবনকারী সুকু ওই মাদক বিক্রেতাদের হাতে আহত হন।

এ খবর বিজিবির কাছে পৌঁছালে গংগারহাট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং বিষয়টি বিএসএফকে জানানো হয়। পরে বিএসএফর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের মোবাইল উদ্ধার করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।

গংগারহাট বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আবু হানিফ আলী জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে বিএসএফকে অবগত করা হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনর্চাজ ফজলুর রহমান জানান, বাংলাদেশি আর ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হওয়ার ঘটনা দেখে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। তবে হারিয়ে যাাওয়া মোবাইল ফোন আর চশমা এখনও হাতে পাওয়া যায়নি।