কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন শহিদুল আলম : ডিবি

সামাজিকমাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টার কথা স্বীকার করে কৃতকর্মের জন্য আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ক্ষমা চেয়েছেন বলে দাবি করেছে ডিবি পুলিশ।

‘ফেসবুক লাইভে দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ছাত্র আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করেছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। রিমান্ডে বিষয়টি স্বীকার করে নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।’

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তা মশিউর রহমান সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন।

তিনি বলেন, ‘ফেসবুক লাইভে দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ছাত্র আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করেছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। রিমান্ডে বিষয়টি স্বীকার করে নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।’

এদিকে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ।

দৃক গ্যালারি ও পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুলকে রোববার রাতে গ্রেফতার করার পর সোমবার আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি পুলিশ।

কিন্তু শহিদুলকে ডিবি হেফাজতে নির্যাতন করার অভিযোগ এনে রিমান্ডের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার হাইকোর্টে রিট করেন তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ।

ওই আবেদন শুনে আদালত দ্রুত শহিদুলকে ডিবি হেফাজত থেকে হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

সে অনুযায়ী বুধবার সকাল ৯টার দিকে শহিদুল আলমকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেয়া হয়।

বিএসএমএমইউর মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহর নেতৃত্বে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ড কেবিন ব্লকের পাঁচ তলার একটি কক্ষে শহিদুল আলমকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত শনি ও রোববার ঝিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফেসবুক লাইভে আসেন অধিকারকর্মী আলোকচিত্রী শহিদুল।

ওই আন্দোলনের বিষয়ে আলজাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের সমালোচনাও করেন।

৬৩ বছর বয়সী শহিদুলকে হাসপাতালে পাঠানোর আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টে তার স্ত্রী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক রেহনুমার করা আবেদনে বলা হয়, পুলিশ হেফাজতে শহিদুলকে নির্যাতন এবং চিকিৎসা না দিয়ে তাকে রিমান্ডে পাঠানোর মাধ্যমে সংবিধানের ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৫(৫) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করা হয়েছে।